Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৪৮৬ শ্রমিকের পুনর্নিয়োগ দাবি

যমুনা সার কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের প্রধান ফটক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। ৪৮৬ জন শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদ ও পুনর্নিয়োগের দাবিতে গতকাল সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রায় দুইঘণ্টা ব্যাপি কারখানার প্রধান ফটক অবরোধ করে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এসময় কারখানার অবরুদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যাহ্ন বিরতিতে বের হতে আধাঘণ্টা দেরি হয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চাকরি ফেরত না পেলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সমাবেশে শ্রমিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক, উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি সামস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন, ডোয়াইল ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন রতন প্রমুখ।
জএফসিএল জানায়, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রাধীন কেপিআই-১ মানের যমুনা সারকারখানায় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দৈনিক হাজিরাভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করে। দরপত্র আহ্বান করে নির্বাচিত ঠিকাদারের মাধ্যমে দুই বছরের জন্য এসব শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। সর্বশেষ সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপির প্রতিনিধি সাখাওয়াত আলম মুকুলের মালিকানাধীন মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ৪৮৬ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলো। তাদের মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ার চলতি মাসের ১ সেপ্টেম্বর থেকে সকল শ্রমিককে কারখানায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রাখতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আদালতে মামলা দায়ের করে। উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, এমপির কথিত প্রতিনিধি (ঠিকাদার) নিজেদের স্বার্থে মামলা করে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করেছে। এদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান না করে বিধিবহির্ভূতভাবে নিজেদের পছন্দমতো লোকজন নিয়োগের পায়তারা করছে। অথচ কর্মহীন শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক জানান, শ্রমিকদের যোক্তিক দাবি পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভ বেড়েই চলছে। দ্রুত সমাধান না হলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে।এব্যাপারে কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন ইনকিলাবকে জানান, চুক্তিভিত্তিক ৪৮৬ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৯৩ জনের নিয়োগ বিধি মোতাবেক আগেই বাতিল হয়েছে।
বাকি ২৯৩ জনের মেয়াদকাল গত ৩১ আগস্ট শেষ হয়। নতুন ঠিকাদার নিযুক্ত করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিলো, কিন্তু ঠিকাদারের মামলার কারণে নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ আছে। সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, শান্তিপূর্ণভাবে শ্রমিকরা কর্মসূচি পালন করেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ