Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভূঞাপুরে ধান চাষে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা

আলীম আকন্দ, ভুঞাপুর (টাঙ্গাইল) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের কৃষকরা ধান চাষে বার বার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। একদিকে প্রায় দ্বিগুণ হারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি কারণে হাল চাষে ব্যাপক হারে প্রভাব পড়েছে। অপরদিকে, বার বার আসছে যমুনার নদীর পানির কালো থাবা। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে বিগত তিন দফার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে নিম্নাঞ্চলের রোপা আমন ধানের বীজতলা-ধানের চারা তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে ঋনের বোঝায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন কৃষকরা।
তৃতীয় দফায় পানি বাড়লেও এতে কোন প্রভাব না পড়ায় ঘুরে দাঁড়াতে সেচ পাম্পের মাধ্যমে ফের আমন ধানের চারা রোপন শুরু করছিল কৃষকরা। চতুর্থ দফায় যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করে এবার অসংখ্য জমিতে লাগানো ধানের চারা তলিয়ে গিয়ে পচে ও নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। উপজেলার কয়েড়া, ফকির কেল্লা, নিকরাইল ও মাটিকাটা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও যমুনা নদীর পানি এসব এলাকাগুলোতে প্রবেশ করে। পানি নেমে যাওয়া শুরু করায় তলিয়ে যাওয়া ধানের চারা ঘোলা পানির কারণে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধানের চারাগুলো পানিতে ন্যুয়ে পড়েছে।
কয়েড়া গ্রামের কৃষক জলিল বলেন, কৃষকের চারদিকেই মরণ। তেলের দাম বেশি, এতে করে হাল চাষের খরচও দ্বিগুণ। যখন ধানের চারা জমিতে লাগাই তখনি অতিরিক্ত বৃষ্টি ও বন্যার পানি প্রবেশে নিচু এলাকার জমির ধানের চারা নষ্ট হয়ে যায়। বার বার এত কষ্ট সইতে পারছি না। স্বপ্নগুলো চোখের সামনে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবীর জানান, পানি নেমে যাওয়ায় ধানের চারাগুলো সোজা হয়ে দাড়াবে এবং মাজা ভাঙা চারাগুলোতে নতুন করে কুশি গজাবে। তাই ক্ষতির সম্ভাবনা কম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ