বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফতুল্লার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী রাজু প্রধান বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে পশ্চিম দেওভোগ মাদ্রাসা শেষ মাত্রা, বাংলাবাজার, বাঁশমুলি, নুর মসজিদ, ভোলাই এলাকার সাধারণ মানুষ। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে চাদাঁবাজি থেকে শুরু করে হত্যা, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে।
সন্ত্রাসী রাজু ও বিশাল কিশোর গ্যাং বাহিনী এলাকায় ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নিরীহ মানুষকে হয়রানি, হত্যা মামলাসহ প্রায় ১ ডজন মামলা রয়েছে। রহস্যজনক কারণে পুলিশ সন্ত্রাসী রাজু প্রধানসহ এ বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করছে না। এলাকার মানুষ এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই মামলা-হামলার শিকার হতে হয়। আর এ কারণে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
সূত্র জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দেওভোগ শেষ মাথার নুর মসজিদ এলাকায় ডজন মামলার আসামি রাজু প্রধান ওরফে সন্ত্রাসী রাজু ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
সন্ত্রাসী রাজু পশ্চিম দেওভোগ প্রধান বাড়ির রিয়াজ চৌধুরীর ছেলে। অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু, হত্যা মামলাসহ রাজুর বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় রয়েছে মোট ১৪টি মামলা। তবুও রাজু প্রধান তার বাহিনী পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজু প্রধান।
সূত্র জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দেওভোগ শেষ মাথা এলাকা থেকে শুরু করে দেওভোগ মাদ্রাসা শেষ মাত্রা, বাংলাবাজার, বাঁশমুলি, নুর মসজিদ, ভোলাইল এলাকা পযর্ন্ত রাজুর রয়েছে বিশাল মাদকের ডিলার।
রাজু ইট-বালুর ব্যবসার পাশা-পাশি চালায় বিশাল কিশোর গ্যাং বাহিনী। এলাকার কেউ রাজুর কাছ থেকে ইট-বালু না নিলে তার বাহিনী নিয়ে তাদের বাড়ি ঘরে বাধা ও হামলা দেন। এমন কি ঐ এলাকার কেউ বাড়ি-ঘর তৈরী করলেও বাড়ির মালিকদের কাছে চাঁদা দাবী করেন রাজু প্রধান।
সন্ত্রাসী রাজু প্রধানবাড়ির ছেলে বলে এলাকার মানুষ তাকে কিছু বলতে সাহস পায়না। কেউ প্রতিবাদ করলেই তার উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসী রাজু বাহিনী।
এলাকাবাসী জানায়, সন্ত্রাসী রাজু প্রধান হত্যা, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল। দীর্ঘদিন যাবৎ তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, তার হিংস্রতা, অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে সংক্ষুব্ধ জনগণ কথা বলার এবং প্রতিকার চাওয়ার সাহস পেত না। তার রয়েছে বিশলি কর্মী বাহিনী। প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করা ছিল তার দৈনন্দিন বিষয়।
একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েও আবার জামিনে বের হয়ে এসে এলাকায় প্রভাব বিস্তার শুরু করে। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
এদিকে সন্ত্রাসী রাজু ও তার বাহিনীকে গ্রেপ্তারেরর দাবিতে ও এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে এলাকাবাসী মানববন্ধন থেকে শুরু ডিসি ও এসপির বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।