Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লোকসান ঠেকাতে রোটেশন প্রথায় ফিরল বরিশাল-ঢাকা রুটের বেসরকারী নৌযান

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:৩০ পিএম

সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে বেসরকারী নৌযাগুলোর অতি মুনাফার রোটেশন প্রথা পুলর্বহাল হল শণিবার থেকে। তবে এবার একচেটিয়া মুনফা বা যাত্রীদের জিম্মি করে নয়, পদ্মা সেতু চালুর সাথে জ¦ালনীর মূল্য বৃদ্ধির ফলে যাত্রী সংকটে ক্রমাগত লোকসান সহ অস্তিত্ব রক্ষায় নৌযান মালিকরা পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে গেলেন। নতুন সিদ্ধান্তনুযায়ী ঢাকা ও বরিশাল প্রান্ত থেকে প্রতিদিন তিনটি করে বেসরকারী যাত্রীবাহী নৌযান যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত কার্যকর হল শণিবার থেকে।

এ হিসেবে নির্ধারিত নৌযানগুলো ঢাকায় পৌছে দুদিন সেখানে অবস্থান করে আবার যাত্রী নিয়ে বরিশাল ফিরবে। গত বুধবার যাত্রীবাহী নৌযান মালিকদের সংগঠনের এক সভায় এ সিধান্ত গ্রহন করার পরে শণিবার থেকে তা কার্যকর হল। ঐ সভায় নৌযান সমুহ চলাচলে কিছু নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম-এর সভাপতিত্বে সভায় বরিশাল ও ঢাকার নৌযান মালিকগন অংশ নিয়ে সর্বসমমতভাবে ।
তবে নৌযান মালিকদের এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় ও বিআইডব্লিউটিএ’র এখনো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পদ্মা সেতু চালুর পরে নৌ পরিবহন সেক্টরে যে ধ্বশ নেমেছে, তার রেশ পড়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সবগুলো দপ্তরেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রের মতে, বিআইডব্লিউটিএ’র আয় হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৪০ ভাগ। যাত্রী চলাচল হ্রাসের রেশ ধরে নৌযানসমুহ পরিচালন সিমিত হওয়ায় বার্থিং ফি থেকে শুরু করে সব ধরনের রাজস্ব আয় কমে গেছে। একই করণে যাত্রীদের টার্মিনাল টিকেট বিক্রীও কমে গেছে ৪০ শতাংশেরও বেশী।
বরিশাল-ঢাকা-বরিশাল রুটে ২৮টি রুট পারমিটধারী নৌযানের মধ্যে ১৮টি নিয়মিত চলাচল করছিল। শণিবার থেকে ১৮টি নৌযানকে ছয়টি দলে বিভক্ত করে প্রতিদিন দুটি দলকে অর্থাৎ ৩টি করে ৬টি নৌযান পরিচালন শুরু করেছেন মালিকগন। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ৩টি নৌযান পরদিন সকাল ৫টার মধ্যে বরিশালে এবং বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া তিনটিকে পরদিন সকাল ৬টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাতে হবে। পথিমধ্যে কোন প্রতিযোগিতা বা ওভারটেক করা যাবেনা। য়াকাÑভোলা বাদে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যরুটগুলোতেও এ ব্যবস্থা কার্যকর হতে যাচ্ছে।
নৌযান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু সাংবাদিকদের বলেছেন, পদ্মা সেতু চালুর পর যাত্রী সংকট দেখা দিলে ভাড়া কমিয়ে লোকসান কমানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সবদিক সামাল দেবার আগেই জ¦ালানীর দাম বৃদ্ধিতে নৌযান ব্যাবসায়ীগন পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এর পরেও মালিকেরা সরকারী ভাড়ার চেয়ে কম দরে যাত্রী পরিবহন করছে বলে তিনি দাবী করেন। কিন্তু সামান্য কিছু ভাড়া বাড়ানোর পর কেবিনের যাত্রী সংখ্যা ২০-৩০ শতাংশে নেমেছে। তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে প্রতি ট্রিপে একটি নৌযানকে এখন ২-৩ লাখ টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি। অথচ লঞ্চ মালিকদের প্রায় সকলেরই ব্যাংকের কাছে প্রচুর অংকের দেনা রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে পুনরায় রোটেশন পদ্ধতিতে ফিলতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে রাষ্ট্রীয় নৌ বানিজ্য প্রতিষ্ঠান, বিআইডব্লিউটিসি করোনা মহামারী শুরুর পর থেকেই ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী রুটে নিয়মিত স্টিমার সার্ভিসটি সপ্তাহে দুদিনে হ্রাস করলেও এখন তাও চালাছে না চলার মত করেই । ১৭.৯.২০২২



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ