Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইছামতির ভাঙনে দেবে গেছে বেইলিব্রিজ

চরম দুর্ভোগে ২ উপজেলার ২৪ গ্রামের মানুষ

শাহীন তারেক, মানিকগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মানিকগঞ্জের ইছামতি নদীর অব্যাহত ভাঙনে ঘিওর উপজেলার কুস্তা বেইলিব্রিজের মাটি ধসে ডেবে গেছে। ফলে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ছোট-বড় সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে কর্তৃপক্ষ। চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার ২৪ গ্রামের মানুষ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বেইলিব্রিজটি যে কোন সময় নদীতে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাৎক্ষনিক জিওব্যাগ ফেলছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তাও আবার বালুর পরিবর্তে জিওব্যাগে দেয়া হচ্ছে মাটি।

জানা যায়, ইছামতি নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে ঘিওর উপজেলার গরুহাট, কুস্তা সরকারি খাদ্য গুদাম সংলঘ্ন বেইলিব্রিজ, কুস্তা গরুহাট ব্রিজ ও কবরস্থান এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়। ইতোমধ্যে ভাঙনে গরুহাটের পশ্চিশাংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে ২টি ব্রিজসহ আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ৩০টি বসত বাড়ি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অব্যাহত ভাঙনের ফলে কুস্তা সরকরি খাদ্য গুদাম সংলঘ্ন বেইলিব্রিজের পূর্ব পাশের মাটি ধসে দেবে গেছে ব্রিজটি। ফলে ছোট-বড় সল ধরণের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় মনিরুজ্জান মানিক জানান, গত এক সাপ্তাহ ধরে ঘিওরহাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোডের কর্তৃপক্ষ গরুহাট এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা শুরু করেছে। কিন্ত হাটের আশপাশের ভাঙন কবলিত এলাকায় ভাঙন রোধে তেমন কোন ব্যাবস্থা চোখে পড়েনি। দ্রুত ব্যবস্থা নিলে কুস্তা বেইলিব্রিজটির মাটি ধসে যেতো না। দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

কুস্তা গ্রামের রতন মিয়া জানান, কুস্তা বেইলিব্রিজের দু’পাশের মাটি ধসে যাওয়ায় গত সোমবার ব্রিজের পূব পাশে মাটি দেবে যায়। এরপর থেকে ব্রিজে চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। দ্রুত ব্রিজটি যান চলাচেলর উপযোগী করে তুলতে সরকারের কাছে জোড় দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, কুস্তা খাদ্য গুদাম সংলঘ্ন ব্রিজটি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়া হাট রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল হক বলেন, ইছামতি নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে কুস্তা ব্রিজের পূর্বাংশ দেবে গেছে। ব্রিজটি মেরামতে ক্রেন আনা হয়েছে। ক্রেন দিয়ে ব্রিজটি উচু করার চেষ্টা চলছে। তবে ব্রিজের ওজন বেশি হওয়ায় কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ