প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সুকেশ চন্দ্রশেখরের আর্থিক প্রতারণার মামলায় গেল বছর থেকেই সংবাদ শিরোনামে বলিউড সুন্দরী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ, এমনকি সম্প্রতি এই মামলার চার্জশিটেও নাম রয়েছে তার। একই মামলায় জ্যাকুলিনকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ভারতের আর্থিক দুর্নীতির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অ্যানফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। এবার জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা।
জানা গেছে, বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় তদন্ত সংস্থার মন্দির মার্গ কার্যালয়ে আসেন জ্যাকুলিন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৮টার দিকে কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান তিনি। এ মামলায় প্রধান আসামি সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
এরআগে, গত মাসে এর চার্জশিটে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আর সুকেশ চন্দ্রশেখর বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ফোর্টিস হেলথ কেয়ারের সাবেক পৃষ্ঠপোষক শিবিন্দর মোহন সিংয়ের স্ত্রী অদিতি সিংয়ের মতো নামিদামি ব্যক্তিসহ বিভিন্ন লোকের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে৷
তদন্ত সংস্থার দাবি, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ফৌজদারি মামলায় সুকেশের সম্পৃক্ততার বিষয় এবং সে বিবাহিত বলেও জানতেন। কিন্তু এরপরেও বিষয়গুলো উপেক্ষা করে তার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়েছিলেন নায়িকা।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সুকেশের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাঁচটি ঘড়ি, ২০ পিস গয়না, ৬৫ জোড়া জুতা, ৪৭টি পোশাক, ৩২টি ব্যাগ, ৪টি হার্মিস ব্যাগ, ৯টি পেইন্টিং এবং ক্রোকারিজ সামগ্রী গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ।
এদিকে, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি ও পিঙ্কি ইরানি। তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। ২০০ কোটি টাকার প্রতারণা এবং আরও ২০টি আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় নাম জড়ানো চন্দ্রশেখর দিল্লির রোহিণী জেলে বন্দি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।