পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম (বিবিএফ) গতকাল ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড বা কৃষি পুরস্কার ২০১৬ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো দেওয়া হচ্ছে এই পুরস্কার। দেশের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় পর্যায়ে পুরস্কারটি দেওয়া হবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিটপী দাশ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের (বিবিএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শরিফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারে সাতটি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরি বা শ্রেণিতে অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড বা কৃষি পুরস্কার ২০১৬ দেওয়া হবে। ক্যাটাগরি বা শ্রেণিগুলো হচ্ছে সেরা উদ্ভাবন ও গবেষণা সহযোগী প্রতিষ্ঠান, সেরা সমর্থন/সহায়তা ও বাস্তবায়ন সহযোগী সংগঠন, কৃষি খাতের প্রযুক্তির সেরা ব্যবহার, সেরা কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক, বছরের সেরা পুরুষ কৃষক, বছরের সেরা নারী কৃষক এবং বছরের সেরা কৃষক (সাবসিস্ট্যান্স মার্কেট ফার্মার গ্রæপ)। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের কান্ট্রি হেড বিটপী দাশ চৌধুরী বলেন, আমরা আমাদের যাত্রার তিন বছরের মধ্যে এই পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত। আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি, আমাদের এই ক্ষুদ্্র প্রয়াস সারা দেশের কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবে এই খাতে অনুকরণীয় অবদান রাখতে এবং টেকসই কৃষি খাত তৈরিতে। তিনি বলেন, ব্যাংকের জন্য এই পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে দেশের কৃষি খাতকে উৎসাহিত ও সহায়তা করার জন্য এটি একটি বিশেষ সুুুুযোগ। বিটপী দাশ চৌধুরী আরো জানান, এ বছরে পুরস্কার বিজয়ীদের একটি ক্রেস্টসহ ৫ লাখ টাকার প্রাইজমানি দেওয়া হবে, যাতে তারা কৃষি খাতে তাদের কার্যক্রম ও অবদান আরো বাড়াতে পারেন। এছাড়া প্রত্যেক ক্যাটাগরি বা শ্রেণির অনারেবল ম্যানশনেরা প্রত্যেকেই ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের (বিবিএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শরিফুল ইসলাম বলেন, টেকসই উপায়ে খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন গোটা বিশ্বের কাছেই একটি বড় দৃষ্টান্ত। সে জন্য দেশের যেসব কৃষক ও কৃষিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান দেশের ক্রমবর্ধমান মানুষের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যের চাহিদা পূরণে নিরলস খাদ্যশস্য উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের কাজের স্বীকৃতি দিতে এই পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে।
শরিফুল ইসলাম আরো জানান, অতীতে প্রতিবারই স্বচ্ছতা, বস্তুনিষ্ঠতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখেই পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে। ফলে এটি ইতিমধ্যে মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে। সেই প্রতিশ্রæতির আলোকে এবারও পুরস্কার বিজয়ীদের বাছাই করে নেওয়া হবে।
এ জন্য অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০১৬ বা কৃষি পুরস্কার ২০১৬ দিতে সারা দেশ থেকে নমিনেশন বা মনোনয়ন আহŸান করা হয়েছে। সে অনুযায়ী যেসব আবেদন পাওয়া যাবে সেগুলো থেকে প্রাথমিকভাবে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হবে। এর পরে ওই তালিকা ধরে নমিনেশন বা মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিদের ও প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলবে। এ জন্য থাকবে এক্সপার্ট জুরি সেশন বা বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ড। এর পরে চ‚ড়ান্ত বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হবে। সব শেষে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।