Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জীর্ণ ভবন ধসের আতঙ্কে কমছে শিক্ষার্থী

মাদারীপুরে প্রাথমিক শিক্ষার হাল

| প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুরের সদর উপজেলার জাফরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন সংকটের কারণে খোলা আকাশের নিচে শিশুদের পাঠদান চলছে। কমে যাচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা। বৈরী আবহাওয়ার সময় বন্ধ থাকে শিশুদের পাঠদান। এই হলো এ এলাকার প্রাথমিক শিক্ষার হাল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ১৫নং জাফরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে একটিমাত্র ভবন রয়েছে। এই ভবনের ৩টি শ্রেণীকক্ষে শিশুদের পাঠদান কার্যক্রম কোনোভাবে চলত। ৫ বছর আগে ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরে। খসে পড়তে থাকে পলিস্টরা। দুই বছর আগে বিদ্যালয়ের এই ভবনটি পুরোপুরি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। নতুন ভবনের জন্য বিভিন্ন দফতরে দৌড়ঝাঁপ করেও কোনো লাভ হয়নি। জেলা শিক্ষা অফিসের অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে স্কুলটির নাম। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে গত বছর ৫ অক্টোবর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভবন চেয়ে লিখিত আবেদনও করা হয়েছে। এতেও কিছু হয়নি। বর্তমানে একটি ছাপরা ঘরেই চলছে শিশুদের পাঠদান। কিন্তু সেই ঘরটিও শিশুদের পাঠদানের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তাই খোলা আকাশের নিচেই শিশুদের ক্লাস নেয়া হয়। বিদ্যালয়টিতে আগে সাড়ে ৩শ’ ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করত। ভবনের জীর্ণদশার কারণে বর্তমানে ছাত্রছাত্রী কমে দাঁড়িয়েছে আড়াইশ’ জনে। বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে এখনো চলে অফিসিয়াল কার্যক্রম। তবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা থাকেন ভবন ধসের আতঙ্কে। জাফরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুমা আক্তার বলেন, ‘স্কুলটিতে একটিমাত্র ভবন। তাও দুই বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন দফতরে একাধিকবার যোগযোগ করেও কোনো লাভ পাইনি। বাচ্চাদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করতে হয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাঝেমধ্যেই পাঠদান বন্ধ রাখতে হয়। এতে শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ‘আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত নতুন একটি ভবন নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’ মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল আলীম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘স্কুলটির সমস্যার কথা জানিয়ে আমরা ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। আশা করি শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ