বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে নাহারুল ইসলাম নামে এক শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেছে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার উপজেলার আল্লারদর্গা হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৩ দিন আগে আল্লারদর্গা হাইস্কুলের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক নাহারুল ইসলামের আল্লারদর্গা হলুদবাড়ীয়া গ্রামের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায় একই স্কুলের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। এসময় ওই শিক্ষকের স্ত্রী বাড়ী না থাকায় ছাত্রীকে একা পেয়ে কু-প্রস্তাব দেয় শিক্ষক নাহারুল ইসলাম। শিক্ষকের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ওই ছাত্রী স্কুলে ফিরে তার সহপাঠীদের জানায়। এ ঘটনা জানার পর স্কুলের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানায়। ঘটনার ৩ দিন পার হলেও অভিযুক্ত শিক্ষক নাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা গতকাল বুধবার শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে জুতা স্যান্ডেল নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভে এলাকার অভিভাবকরাও অংশ নিলে স্কুলের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক নাহারুল ইসলামকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে আল্লারদর্গা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম জানান, শিক্ষক নাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা আমাকে জানিয়েছিল। বিষয়টি আমি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিকে অবহিত করেছি। ম্যানেজিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই শিক্ষার্থীরা বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে ওই শিক্ষকের অপসারণ দাবি করে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক নাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আগেও এমন অভিযোগ পাওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন। ক্লাস চলাকালে ছাত্রীদের সাথে অসদাচরণ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শিক্ষক নাহারুল ইসলামকে আটকের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, আটক শিক্ষক নাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় যৌন হয়রানি, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।