বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের চৌয়ারা বাজার এলাকায় যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে জিলানী হত্যাকান্ডের প্রায় দুই বছর পর ঘাতক আরমান হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। গ্রেফতার আরমান কুমিল্লা জেলার উলুরচর গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে।
বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন রীমার আদালতে প্রেরণ করা হলে সে জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে আরো ৮ জনের নাম প্রকাশ করেছে।
পিবিআই জানায়, ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর সকাল ৭টার দিকে পুরাতন চৌয়ারা বাজারের একটি দোকানের পার্শ্বে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আরমানসহ ঘাতকরা জিল্লুর রহমান চৌধুরী জিলানীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ডান ও বাম হাতসহ দুই পায়ের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক কাটা জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে এদিন সকাল ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-কুমিল্লার পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ জানান, গ্রেফতার আরমান এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে আত্মগোপনে ছিল। তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
উল্লেখ্য, যুবলীগকর্মী জিলানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই ইমরান হোসাইন চৌধুরী বাদী হয়ে ২৪ জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। এ মামলায় এরই মধ্যে নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খলিলুর রহমান মজুমদারসহ ৫ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গেলেও তাদের সবাই বর্তমানে জামিনে আছেন। এছাড়াও মামলার এজাহারনামীয় ১৬ জন উচ্চ আদালত হতে জামিনে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।