বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নওগাঁর পোরশায় কৃষক যখন বৃষ্টির অভাবে আমন ধান নিয়ে শংকায় ছিল, ঠিক তখনই ভারী বর্ষনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপজেলার বাসি। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত টানা বর্ষনে পুকুর, খাড়ি, নালা ইত্যাদি পানিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। অনেক রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার ফলে চলাচল ব্যহত হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ বের হচ্ছেনা। হঠাৎ বর্ষনে খেটে খাওয়া মানুষ গুলোও নিজ নিজ বাড়িতে বসে আছে। উপজেলার শতাধিক পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ফলে মাছ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে অনেকে আশংকা করছেন। পানিতে নিচু এলাকার আমন ধান সহ অন্যান্য ফসলাদি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও অনেকের বাড়িঘর ভেঙ্গেগেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। পানি দ্রুত নেমে না গেলে ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন সাধারণ কৃষকগণ। উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, ভারী বর্ষনে গবিরাকুড়ি এলাকার নিচু এলাকার বাড়িঘর ভেঙ্গেগেছে। ব্যাপক বর্ষনের কারনে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে ফলে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। যে সব পরিবারের বাড়ি ভেঙ্গে গেছে তারা স্থানীয় আতœীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে তিনি জানান। ছাওড় ইউনিয়নের খাড়ি পাহাড় গ্রামের আব্বাস আলী জানান, প্রবল বর্ষনে তাদের গ্রামের ছয় পরিবারের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গেছে। ঘাটনগর ইউনিয়নের নিস্কিনপুর গ্রামের পোল্ট্রি খামারী শরিফুল ইসলাম জানান, তার খামারে ১ হাজার ২০০টি মুরগী ছিল হঠাৎ বৃষ্টিতে তার সব মুরগী ভেষে গেছে। এতে তার প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই গ্রামের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী আকবর আলীর প্রায় ২০০ মুরগী ভেসে গেছে বলে তিনি জানান। অপরদিকে সুহাতি গ্রামের মাছ চাষি মজিবর রহমান মাস্টার জানান, তার পুকুরের বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় দুই লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, এই বর্ষনে উপজেলার ৩২ হেক্টর জমির আমন ধান ও ৫ হেক্টর জমির সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। পানি স্থায়ী হলে ক্ষতি হবে বলে তিনি জানান। তবে পানি নিস্কাশনের পরামর্শ দেওয়ার জন্য উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠে কাজ করছেন বলে জানান। অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জাকির হোসেন জানান, ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরীর জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা হাতে পেলেই জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করা হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্থরা সহযোগীতা পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।