Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঠবাড়িয়ায় শতাধিক হেক্টর রোপা আমন পানির নিচে

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৩:১৭ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ৫ দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি এবং ভাদ্রা পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার শতাধিক হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। নিচু এলাকার আমন ক্ষেতের পানি ৪/৫ দিনে নিষ্কাশন না হলে বড় ক্ষতির আশংকায় আছে প্রান্তিক কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হলো মিরুখালী ইউনিয়ন (অধিকাংশ) এবং মঠবাড়িয়া, সাপলেজা, ধানীসাফা ও দাউদখালী ইউনিয়ন (আংশিক)। সরেজমিনে দেখা গেছে এসব নিচু এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি বদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নাগ্রাভাঙ্গা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আ. হামিদ মোল্লা জানান, বেরিবাঁধে পর্যাপ্ত ¯øুইজগেট না থাকায় পানি না নামায় তার দেড় একর জমির রোপা আমন পানির নিচে ডুবে আছে। দাউদখালী ইউপির হারজী নলবুনিয়া গ্রামের (৮নং ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম জানান, তার নিজের ৩ একরসহ মিরুখালী-মঠবাড়িয়া সড়কের দুই পাশে প্রায় শতাধিক একর জমির রোপা আমন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি না নামলে কৃষকের একর প্রতি প্রায় (আবাদ ব্যায়) ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি হবে। তারপর পসল তো পাবেই না।

মিরুখালী কৃষি তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, পানির কারনে শেষ দিকে রোপন করা বীজের কিছু ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নতুন বীজতলা করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, আগামী ২/১ দিনে বৃষ্টি থেমে গেলে আমনের কোন ক্ষতি হবে না। আগামী ৪/৫ দিন বৃষ্টি থাকলে ানি বদ্ধতায়রোপা আমন নষ্ট হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কৃষকরা দেশী জাতের বীজ দিয়ে নতুন করে আমন আবাদ করতে পারবে বলে কৃষি কর্মকর্তা জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ