Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গৌরীপুরে কলেজ ছাত্রের হত্যার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ২টি গাড়ি ভাঙচুর

আহত ৪ ফায়ার ফাইটার

গৌরীপুর সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৩:১১ পিএম

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কলেজছাত্র জহিরুল ইসলাম মিঠু (২৪) নামে কলেজছাত্রের ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় উত্তেজিত জনতা মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি আগুন নেভাতে গেলে উত্তেজিত জনতা গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। এতে দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চারজন ফায়ার ফাইটার আহত হন।

এদিকে আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। আহত ফাইটার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সারে ৯টার দিকে পৌর শহরের পাটবাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, কলেজছাত্র মিঠু হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে পৌর শহরের কালিপুর ও মাছমহাল এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় খবর পেয়ে তাঁরা প্রথমে ৮.৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা করেন। মধ্যবাজার এলাকায় যেতেই একদল লোক ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকে দেয়। নিরুপায় হয়ে তাঁরা ফিরে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মজুমদার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে এসে আবারও ঘটনাস্থলে যেতে অনুরোধ করেন। ৯.১৫ মিনিটে আবারও তাঁরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করেন। পরে পাটবাজার মোড়ে পৌঁছাতেই পুলিশের সামনেই ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা করে উত্তেজিত লোকজন।সুত্রে জানা গেছে, এ সময় টিম লিডার হুমায়ূন কবির, ড্রাইভার আলী হোসেন, ফায়ার ফাইটার বাদল দত্ত ও মিন্টু মিয়া আহত হন। তাঁদের মধ্যে ড্রাইভার আলী হোসেনের অবস্থা গুরুতর। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যরা গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফিরে এসেছেন।

গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিসের লিডার হুমায়ূন কবির বলেন, ‘আগুন নেভাতে গেলে প্রথমবার লোকজন আমাদের গাড়ি ফিরিয়ে দেয়। দ্বিতীয়বার পুলিশের সহযোগিতায় আবারও ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করি। এ সময় পাটবাজার মোড়ে যেতেই লোকজন গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। এতে আমিসহ চারজন আহত হই।’

হুমায়ূন কবির আরও বলেন, ‘একটি গাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। জরুরি সেবা দিতে বিকল্প হিসেবে ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি এখানে আনা হয়েছে।’
এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘মাছমহাল এলাকাটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। সেখানে বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন দিয়েছে লোকজন। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ফেরত গেছে শুনে পুলিশি পাহারায় আবারও ঘটনাস্থলে পাঠানোর চেষ্টা করি তাদের। পাটবাজার মোড়ে পৌঁছাতেই লোকজন গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ