Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নান্দাইলে জমি জবরদখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

ময়মনসিংহ ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মময়মনসিংহের নাদাইল উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞার জমিতে সন্ত্রাসী কায়দায় মেহগণি গাছের বাগান কেটে জবরদখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জবরদখলকারিদের সন্ত্রাসী হামলার আতঙ্কে দিন কাটছে ভুক্তভোগী পরিবারের। এনিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে অসহায় স্থানীয় বাসিন্দারাও। এমন অভিযোগ উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামের ভুক্তভোগী আ. হামিদ, স্ত্রী হাসিনা খাতুন ও ছেলে মামুনুর রশিদের। তারা জানায়, ১৯৭২ সালে স্থানীয় আ. রহমান ও তার স্ত্রী জমিলা খাতুন যৌথ ভাবে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ১৯৯২ সালে আ. রহমান তার নামের অংশটুকুও স্ত্রী জমিলা খাতুনকে লিখে দিলে ২০০১ সালে জমিলা খাতুন প্রতিবেশি হাসিনা খাতুন ও তার ছেলে মামুনুর রশিদের কাছে সাফকাওলা দলিলে বিক্রি করে দেন। সেই থেকে জমিটিতে মেহগণি গাছের বাগান করে ভোগদখল করে আসছে হাসিনা খাতুন ও তার ছেলে মামুনুর রশিদ।
কিন্তু জমিলা খাতুনের মৃত্যু’র পর স¤প্রতি আ. রহমান ও জমিলা দম্পতির ছেলে ইব্রাহিম ও দুলাল জানতে পারে ১৯৮৪ সালের ভ‚মি জরিপে জমিটি রেকর্ড হয়েছে তাদের বাবা আ. রহমানের নামে। ভুক্তভোগী মামুন জানায়, বর্তমানে জমির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় আ. রহমান ও জমিলা দম্পতির ছেলে ইব্রাহিম ও দুলাল আমার কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু তাদের মায়ের কাছ থেকে জমি কিনে নেওয়ায় তাদেরকে আমি টাকা দিতে অস্বীকার করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেশি জসীম উদ্দিনের কাছে অবৈধ ভাবে এই জমি বিক্রি করে দিয়েছে। এ সুযোগে চলতি বছরের ৩ জুলাই জসিম উদ্দিন সন্ত্রাসী কায়দায় আমার মেগণি বাগানের ৪০টি গাছ জোরপূর্বক কেটে মাটি ভরাট করেছে। এতে বাঁধা দিতে গেলে জসিম ও তার ছেলে আকরাম, সাদ্দাম আমাদের ওপর হামলা করে মারপিট করে।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করে মামুনুর রশিদ। একই সাথে ঈশ^রগঞ্জ চৌকি আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলাও করা হয়।
এরপর আদালতের নির্দেশে এই বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে লাল নিশান টানিয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ। কিন্তু জসিম উদ্দিন আদালতের আদেশ অমান্য করে নিষেধাজ্ঞার জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করেছে।
এবিষয়ে নান্দাইল থানার উপ-পরিদর্শক নূর আহম্মদ জানান, আদালতের আদেশে ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখন ওই জমিতে কেউ ঘর নির্মাণ করেছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে এ সংক্রান্ত আদালতের যে কোন আদেশ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ