Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টাকার বিনিময়ে আসামিদের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ

মো. মনির হোসাইন, মুরাদনগর কুমিল্লা থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

কুমিল্লার মুরাদনগরে ৪০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে আসামিদের পক্ষে মামলার তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল বারী ইবনে জলিলের বিরুদ্ধে। জানা যায়, কুমিল্লা আদালতে মামলা দায়েরের পর ওই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে মামলার বাদীপক্ষ দারস্থ হলে তাদের কাছেও ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন পরিদর্শক জলিল।
মামলা বাদী জানান, গত ১৮ এপ্রিল মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে জমি নিয়ে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে তার স্বামী সাইদুল ইসলামের ওপর তার প্রথম স্ত্রীর ভাই, চাচা-চাচী, ও চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী অতর্কিত হামলা চালায়। এ অবস্থায় মামলা বাদী তার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তার ওপর হামলা চালায়। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলার আঘাতে তার গর্ভে থাকা ৪ মাসের সন্তান মারা যায়। এ নিয়ে ২৮ এপ্রিল ভুক্তভোগি বাদী হয়ে স্বামীর প্রথম স্ত্রীর বড় ভাইসহ অন্যান্যদের আসামি করে কুমিল্লা আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্তকর্মকর্তা মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল বারী ইবনে জলিল বাদীকে থানায় ডেকে এনে মামলাটির তদন্ত ও খরচ বাবদ ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে বাদী টাকা দিতে পারবেন না বলে জানালে আসামিদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে আসামিদের পক্ষে ২৫ জুন মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ১৮ এপ্রিলের মারামারির ঘটনায় ভুক্তভোগি গর্ভপাত হয়নি। গর্ভপাত হয়েছিল মারামারির ঘটনার ১০ সপ্তাহ আগে। তবে বাদী জানান, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাড়পত্র অনুযায়ী ভুক্তভোগি ১৮-২৫ এপ্রিল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং ওই আঘাতজনিত কারণে পেটের সন্তান মারা গেলে তাকে গর্ভপাত করা হয়। মামলার ২নং আসামি আবুল হাশেম বলেন, আমরা ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে। এছাড়া ১নং আসামি সালাউদ্দিন আরো ১০ হাজার টাকা দিয়েছে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে।
মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, মামলাটি একদম ভুয়া। আমি মামলার সুষ্ঠ তদন্ত করেছি, এখানে বাদীর কোনো আপত্তি থাকলে আদালতে এ বিষয়ে আপিল করবে। এখানে টাকা নেওয়া বা টাকা চাওয়ার যে বিষয়টি নিয়ে যে কথা উঠেছে সেটি সত্য নয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুরাদনগর (সার্কেল) পিযুষ চন্দ্র দাশ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এই বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ