Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলার আপেল খ্যাত চন্দনাইশের পেয়ারা এখন বাজারে

এম. এ. মোহসিন, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

দক্ষিণ চট্টগ্রামে বাংলার আপেল খ্যাত চন্দনাইশের পেয়ারা এখন বাজারে। চন্দনাইশের কাঞ্চনাবাদ, হাশিমপুর, লটএলাহাবাদ, ছৈয়দাবাদ, রায় জোয়ারা, লালুটিয়া, জামিরজুরীসহ পাহাড়ে পাহাড়ে উৎপাদিত পেয়ারা প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও বাজারে বিক্রির উৎসব চলছে। এতে ভূমির মালিক ও চাষিদের মুখে হাসির আভা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বেকার শ্রমিকদের কপাল খুলছে। উপজেলার কাঞ্চনগর রৌশনহাট, বাদামতল, হাশিমপুর খাঁনহাট রেলস্টেশন ও বাগিচারহাট পেয়ারা বাজারের প্রসিদ্ধ স্থান। এসব পাহাড়ে পেয়ারা মৌসুমে বেকার শ্রমিকরা সকাল থেকে চাষিদের কাজ থেকে পেয়ারা কিনে দক্ষিণে কক্সবাজার এবং উত্তরে চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বিক্রি জন্য নিয়ে যায়। এতে করে অনেক দুস্থ্য পরিবারের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। বেপারীরা আগে দোহাজারীর মালবাহী ট্রেনে করে চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় নিয়ে যেত। এখন এসব ট্রেন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন চেয়ারকোচ ও ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য নিয়ে যায়। সদ্য জালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় যানবাহনের খরচ ও বৃদ্ধি হয়েছে। ফলে তাঁদের আয়-ব্যয় পুষিয়ে আসতে হিমশিম খাচ্ছে।
প্রতিদিন সকালে পেয়ারা চাষিরা বাগান থেকে পেয়ারা তুলে খাচায় করে লাল-সালু দিয়ে মুড়ে এসব প্রসিদ্ধ হাটবাজারে নিয়ে যায়। পেয়ারা চাষি আব্দুর রহীম জানান পেয়ারা ভার খাচি হিসেবে প্রতি ভার এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলে জানান।
পেয়ারা ক্রেতা মো. শাহীন জানান, চন্দনাইশের সুস্বাদু পেয়ারা মানুষের মন কেড়েছে। যা পুষ্টিকর, সুমিষ্টি মোহনীয় এবং দেখতে খুব সুন্দর। চন্দনাইশের পেয়ারা চাষে অনেক চাষিদের জীবন ধারা বদলে দেয়। তবে চাষিরা জানান, অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছর লাভ জনক কম হওয়ার আশাংকা ভুগছে।
চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার চোধুরী জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশে প্রতিবছর পেয়ারা মৌসুমে পেয়ারা চাষিরা পেয়ারা ফলন করে চন্দনাইশ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিক্রি করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে, চাষিরা সার্বিক সহযোগিতা পেলে তারা আরো অধিক পেয়ারা চাষে আগ্রহী হবে।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার জানান, এ বছর চন্দনাইশে পাহাড়ি অঞ্চলে ৭শ’ ৫৫ হেক্টর পেয়ারা চাষ হয়েছে এবং পেয়ারা চাষিদেরকে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাজারে পেয়ারা ক্রয় করতে আসা অধ্যাপক জাবেদ ইকবাল ও মাওলানা মো. এমদাদ উল্লাহ জানান, চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ হাশিমপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে পেয়ারা চাষিদেরকে আরো অধিক পেয়ারা ফলনে সরকারিভাবে সার্বিক সহযোগিতা কিংবা সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে, চাষিরা উপকৃত হবে। মহাজনদের কাছ থেকে অধিক সুদে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করতে হবে না। ক্রমশই এখন পেয়ারা কমে আসছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামে পেয়ারা ও নানা ফল প্রক্রিয়াজাত করণের জন্য উপজেলার পেয়ারা চাষিরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ কামনা করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ