বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কলাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অন্তরালে ৪২ বিত্তবানদের নামে ২৫ কোটি টাকা মূল্যের আলোচিত সেই ৭২ একর সরকারী খাস জমি অবৈধ বন্দোবস্ত কর্মকান্ডে তদন্ত শুরু করলো দুদক। তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তার জন্য দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ৭২ একর খাস জমি বন্দোবস্ত সংক্রান্ত সকল তথ্য-উপাত্ত চেয়ে জেলা প্রশাসন, কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও সাব-রেজিষ্ট্রারকে লিখিত পত্র দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রাদি অনুসন্ধান শেষে মামলার এজাহারভুক্ত একমাত্র আসামী ভূমি অফিস সার্ভেয়ার মো: হুমায়ুন কবিরকে দুদক হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর পর কলাপাড়ার সদ্য বদলীকৃত ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক তড়িঘড়ি করে সার্ভেয়ার হুমায়ুন কবিরকে অভিযুক্ত করে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে থানায় মামলা করলে পুলিশ সার্ভেয়ার হুমায়ুনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরন করে। মামলাটি চূড়ান্ত রিপোর্টে নতিজাত করা হয়েছে, গ্রেফতারকৃত সার্ভেয়ার হুমায়ুন এখনও আদালত থেকে জামিন পাননি। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা পেলেও অদ্যবধি কোন প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
দুদক তথ্য সূত্রে জানা যায়, দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন প্রাপ্তির পর পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: জাভেদ হাবিব বাদী হয়ে সার্ভেয়ার মো: হুমায়ুন কবিরকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতানামা আসামীদের নামে ১৬ আগষ্ট বিকেলে দুদক কার্যালয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: মামুনুর রশিদ চৌধুরী।
খেপুপাড়া সাব-রেজিষ্ট্রার রেহেনা পারভিন বলেন, দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁর বরাবর ৪২টি বন্দোবস্ত দলিলের নকল সহ মোট ২৩৭টি দলিলের নকল কপি, ইউএনও অফিস থেকে প্রেরিত বন্দোবস্ত গ্রহীতাদের তালিকার কপি এবং ভূমিহীনদের দলিল রেজিষ্ট্রী সংক্রান্ত কোন আইন, কানুন আছে কিনা জানতে চেয়েছেন। দুদক, পটুয়াখালী সমনি¦ত জেলা কার্যালয়ে চাহিদা মাফিক সব কিছু ইতোমধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: ওবায়দুর রহমানের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য জানতে তাঁর সরকারী নম্বরে গত দুদিনে একাধিকবার ফোন দেয়ার পরও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত কমিটির সদস্য জেলা রেজিষ্ট্রার মো: কামাল হোসেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এখনও তদন্ত প্রতিবেদন তৈরী করা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন কবে নাগাদ জমা দেয়া হবে এটি তদন্ত কমিটির প্রধান বলতে পারেবেন বলে জানান তিঁিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।