প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ফরাসি নিউ ওয়েব সিনেমার জনক, প্রভাবশালী পরিচালক ও খ্যাতিমান চলচ্চিত্র সমালোচক জ্যঁ লুক গদার আর নেই। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ৯১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সিনেমার এই কিংবদন্তী। ফ্রান্সের সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গদার ১৯৩০ সালে একটি বৈভবশালী সংস্কৃতিমনা পরিবারে জন্ম নেন। ফ্রান্স আর সুইজারল্যান্ডে তার শৈশব কেটেছিল। তিনি ছিলেন গণিতে পারদর্শী এবং বইপোকা। ১৯৪৬ সালে প্যারিসে যান স্কুল শিক্ষা শেষ করার জন্য । তার ছিল সাহিত্যিক ও শিল্পী হবার আকাঙ্ক্ষা। বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে তিনি পড়াশোনায় অবহেলা শুরু করেন এবং সিনেমার নেশায় পড়েন।
খ্যাতিমান এই নির্মাতা ১৯৬০ সালে রুপালি জগতে পা রাখেন। তখন থেকেই ফরাসি সিনেমা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। বিশ্ব সিনেমাকে এক নতুন আঙ্গিক উপহার দেয় তার সিনেমা। কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো, বার্নার্ডো বার্তোলুচি, স্টিফেন স্পিলবার্গের মতো বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে গোদার ছিলেন আইকন। ষাটের দশকে ফরাসি নতুন ধারার ছবির জগতে তাকে পথিকৃৎ বলে মানা হয়। ৭ দশকের দীর্ঘ ‘ফিল্ম জীবন’ জ্যঁ-লুক গদারের। তার আধুনিক চিন্তাধারা ও ফিল্মিং-এর মাধ্যমে তিনি নিজস্ব স্টাইল তৈরি করেছিলেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের রীতিনীতিগুলো ভেঙে দিতে চাইতেন তিনি সবসময়।
জ্যঁ-লুক গদারের প্রথম ফিচার ছবি ‘ব্রেথলেস (১৯৬০)। এই ছবিতে নতুন এক সিনেমার ভাষার জন্ম দেয়। এরপর ‘ম্যাস্কুলিন ফেমিনিন’, ‘দ্য লিটল সোলজার’, মেড ইন ইউ এস এ’-এর মতো একের পর এক কালজয়ী ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।
২০১০ সালে গদারকে একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার প্রদান করা হয়, কিন্তু তিনি এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। ২০১৪ সালে তার সিনেমা ‘গুডবাই’ কান চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি পুরস্কার পায়। ২০১৮ সালে তার সিনেমা ‘ইমেজ বুক’ ‘স্পেশাল পাম দ’র’ পেয়েছে। গদারের চলচ্চিত্র অনেক বিখ্যাত পরিচালকদের অনুপ্রাণিত করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।