Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৭ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

সোনাগাজী (ফেনী) উপজেল সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

১৭ বছর পর মায়ের সামনে মেয়েকে গণধর্ষণ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। গত রোববার রাত সাড়ে সাতটার দিকে মডেল থানার উপরিদর্শক মাহবুব আলম সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে ফেনী শহরের মিজান রোড় থেকে গ্রেফতার করে। ধৃত সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি খালেদ হোসেন বলেন, মৃত্যুদন্ডের পর সে গ্রেফতার এড়াতে ঘন-ঘন অবস্থান পরিবর্তন করে। সর্বশেষ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ২০০৩ সালে গণধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়ে সে দুই বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
জাহাঙ্গিরের স্বজনরা জানায়, আদালতে আত্মসমর্পন করতে আইনি পরামর্শ নিতে গত রোববার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গির তার বোন জামাই জসিমকে সাথে নিয়ে আইনজীবী করিমুল হক দুলালের চেম্বারে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন।
২০০৩ সালে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে মায়ের সামনে সনাতন ধর্মের কিশোরী গণধর্ষণ শিকার হয়। ঘটনার জন্য কিশোরীর মা স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতদাকর্মীদের দায়ী করেন। পরদিন কিশোরীর মা বাদি হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ১৯ বছর পর গত ১৪ জুলাই ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার ধর্ষণ মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। একইসাথে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন আবুল কাশেম, মো:. লাতু ও জাহাঙ্গীর আলম। মামলার বাদীনি গ্রেফতারের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তাদের ভয়ে ১৯টি বছর আমার পরিবার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে পালিয়ে বসবাস করছি। তিনি অন্য দুই আসামিকে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ