পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শেষ বিদায় নিলেন ফরিদপুর অঞ্চলের প্রবীন রাজনৈতিক নক্ষত্র। গতকাল রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার এভার গ্রীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) নগরকান্দা এমএন একাডেমী মাঠে বেলা ১১ ঘটিকায়, তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
এবং এই মাঠে বৃহওর ফরিদপুরসহ সকল উপজেলার আওয়ামীলীগ এবং সকল সমমনা দলের নেতা কর্মীরা ফুলেল শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। এবং জানাজার নামাজেও অংশ গ্রহন করবেন।
পাশা-পাশি জেলা প্রশাসক এবং জেলা প্রশাসনের পদস্ত কর্মকর্তরাও ফুলেল শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন।
যেহেতু তিনি ছিলেন,একজন বীরমুক্তিযোদ্বা, সেহেতু তাকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় সম্মানও জানানো হবে বলে জানাগেছে।
নগরকান্দায় ও সালথার দলীয় সূত্রে জানাগেছে, সাজেদা চৌধুরী জানাজার নামাজে উপস্থিতির সংখ্যা লাখে ছাড়িয়ে যাবে।
নগরকান্দা ও সালথার মা- মাটি মানুষের খুব কাছের বান্বব এক সময়ের অভিবক্ত নগরকান্দাবাসীর একান্ত অভিবাবকে হারিয়ে এখন দিশে হারা মানুষ।
না ফেরার জগতে চলে গেলেন বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
(ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)
বৃষ্টিজনিত কারণে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্থগিত করা হয়েছে সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা। এর পরিবর্তে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দার এম এন একাডেমি মাঠে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার ভোরে সংসদ উপনেতার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) বেনজির আহমেদ গনমমাধ্যম কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃষ্টিজনিত কারণে বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্থগিত করা হয়েছে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা।
এর পরিবর্তে একই সময় তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরে নগরকান্দার এম এন একাডেমি মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার জন্য রাখা হবে তার মরদেহ।
বেনজির আহমেদ বলেন, বাদ আসর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে
উল্লেখ্য,
১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলাতে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।তার স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী। ২০১৫ সালের ২৩শে নভেম্বর তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৫৬ সাল থেকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত৷১৯৬৯–১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি।১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়কের দায়িত্বও তিনি পালন করছেন। পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বসহ তিনি সাতবার জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।