Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিলমারীতে জিআর প্রকল্পের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

চিলমারীতে জিআর প্রকল্পের চাল ২ মাসেও বিতরণ হয়নি সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। বিতরণ শুরু হয়। তবে রয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যার্তদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ৩০ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয় ২৯ জুন। অজ্ঞাত কারনে সময় মতো বিতরন না করেই কালক্ষেপণ করেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি নজরে আসলে বিভিন্ন গনমাধ্যমে বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ পায়। অবশেষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে মাঝে বিভাজন করে দেয়া চাল বিতরন শুরু করেন চেয়ারম্যানগন। ইতিমধ্যে ৪টি ইউনিয়নে বিতরণ হলেও বাকি রয়েছে দুটি ইউনিয়নে। নয়ারহাট, থানাহাট, চিলমারী ও রমনা মডেল ইউনিয়নে বিতরণ হলেও রয়েছে নানা অভিযোগ। নামে বে-নামে ও ওজনে কম দেয়াও অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় রমনা মডেল ইউনিয়নে ৫ হাজার ৫২০ কেজি বরাদ্দ দেয়া থাকলেও বিতরণ হয়েছে ৪ হাজার কেজি চাল। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ৪ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে বাকিটা চেয়ারম্যান আর ইউএনও জানেন। এদিকে নয়ারহাট ইউনিয়নে বিতরণে অনিয়ম ও ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ উঠছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তালিকা আর চাল গ্রহণকারীর মধ্যে কোন মিল ছিলনা। নয়ারহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আতাউর বলেন, ৫ জন মিলে ১টি করে বস্তা দেয়া হয় কিন্তু বস্তায় ৩ থেকে ৪ কেজি করে চাল কম পাওয়া যায়। বস্তায় ৩ থেকে ৪ কেজি চাল কমের স্বীকার করে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, এতে আমাদের কি করার আছে। কিছুটা অনিয়ম হয়েছে স্বীকার করে দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, বিতরণের দিন দুপুরে খাইতে গিয়েছিলাম তখন কিছুটা অনিয়ম হয়েছে হয়ত। থানাহাট ইউনিয়নের সুবিধাভোগি বেশ কয়েকজন জানান, চাল তো দিল কিন্তু নিন্মমানের। কয়েকজন ইউপি সদস্য বলেন, আপনারা সংবাদ প্রকাশ না করলে তো আমরা জানতাম না, হয়তো সুবিধাভুগিরা চালও পেত না। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, গত ৩০জুনের মধ্যে চাল উত্তোলন করার কথা থাকলেও প্রায় ২মাস পর চেয়ারম্যানরা চাল উত্তোলন করেছেন। খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা চাল উত্তোলনের কথা বললেও রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান চাল উত্তোলন করেননি বলে জানান। অষ্টমীর চর ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া না গেলে দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, চাল উত্তোলন হলে আমি জানতাম এছাড়াও চাল উত্তোলন হলে চেয়ারম্যান আমাকে জানাবে বলে জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানরা বিতরণে অনিয়ম হয়নি বলে জানান।

থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক মিলন বলেন, আমরা চিঠি দেরিতে পেয়েছি তাই বিতরণে দেরি হয়েছে। তবে রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, আমার বরাদ্দ থেকে ইউএনও ১ টন নিয়েছেন।

বিতরণে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, রমনা ইউনিয়নের বরাদ্দ থেকে কিছু চাল এর আগে বিতরণ করা হয়েছে। তবে খাদ্য গুদাম অফিস সূত্রে জানা গেছে, রমনায় প্রথম দিন ৪ টন চাল নিয়ে গেছে বাকিটা পরে নিবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ