বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমণ্ডপ গ্রামে ধরলা নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দেয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ধরলা পাড়ের শতশত পরিবার। গত আড়াই মাসে ধরলার নিকটবর্তী ওই গ্রামের ফসলি জমি, বাঁশঝাড়, গাছপালার বাগানসহ চলাচলের একমাত্র সড়কের প্রায় তিনশত মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত ভাঙন রোধের ব্যবস্থা না করলে গ্রামটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে জানান স্থানীয়রা।
ঐ গ্রামের বাসিন্দা আমীর আলী, জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে এই এলাকায় ধরলা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই মাসে প্রায় শতাধিক বিঘা আবাদি জমি, গাছপালার বাগান ও বাঁশঝাড় নদী গিলে খেয়েছে। আর গত এক সপ্তাহে আমাদের চলাচলের একমাত্র সড়কটিও নদীতে চলে গেল। এভাবে ভাঙতে থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে বাড়ি ভিটাও নদীতে চলে যাবে।
চর গোরকমণ্ডপ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিন জানান, আমার এই গ্রামে প্রায় সাড়ে ৩০০ পরিবার বসবাস করে। তাছাড়া এ গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাদরাসা, চারটি মসজিদ, একটি সরকারি আবাসন প্রকল্পসহ বেশকিছু গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইতিমধ্যে ১০টি পরিবার ধরলার ভাঙনে ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি পরিবার অন্য জায়গায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরিভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিলে হয়তো অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে নদীর তীরবর্তী চর-গোরকমণ্ডপ গ্রামটি।
এ প্রসঙ্গে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, চর গোরকমণ্ডল এলাকার নদী ভাঙন উদ্বেগজনক। ভাঙ্গন প্রতিরোধে সংসদ সদস্যের সুপারিশসহ কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড মাত্র দুইশত জিও ব্যাগ প্রদান করেছে। যা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,ধরলা তিস্তাসহ যে সকল এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সে সব এলাকা পরিদর্শনসহ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করছি। জিও ব্যাগে প্রতিরোধের কাজ চলমান রয়েছে ।
জানা যায়, ভাঙন ঠেকানোর দাবিতে গতকাল রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ভাঙন কবলিত মানুষজন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার নাঁওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো, হাসেন আলী, স্থানীয় আব্দুস সালাম, আব্দুল মালেক, ফরহাদ আলী,নাজিমুদ্দিন সিদ্দিক আলী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।