Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন মামলা মিথ্যা প্রচার করে দুর্নীতি করায় টাঙ্গাইলে দোকান মালিকদের অবস্থান ধর্মঘট ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে সমবায় সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির ১৫৫ জন দোকান মালিক এ কর্মসূচি পালন করে। টাঙ্গাইল সমবায় সুপার মার্কেট-এর সামনে থেকে ব্যবসায়ীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের নিরালা মোড় এলাকায় গিয়ে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। পরে পুলিশী বাধায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ব্যবসায়ীরা। এ সময় নিজেদের দোকন ফিরে ফিরে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে ব্যবসায়ীরা। এতে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল সমবায় সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক রাহেলা জাকির, সমবায় সুপার মার্কেটের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক খান, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, নারগিস আকতার, গোলাম মোহাম্মদ খানসহ ১৫৫ জন দোকান মালিক। বক্তারা বলেন, কুদরত-ই-এলাহী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সমবায় ব্যাংকের সভাপতি হয়েছেন। অধিক লাভের আশায় তিনি সমবায় মার্কেটের পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবন করে সাবেক ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে নতুনদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। রায় আমাদের পক্ষে রয়েছে। তারপরও স্বঘোষিত কুদরত-ই-এলাহী খান নানা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। তারা আরও বলেন, ১৯৮০ সালে ১৫৫ জন দোকান মালিক জামানতের টাকায় সমবায় মার্কেট তৈরি করি। ৪১ বছর তারা ঢাকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। এতো অল্প সময়ে মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ বা পরিত্যক্ত হয়নি। তারপরও প্রভাব খাটিয়ে ২০১৬ সালে পুরাতন মার্কেটটি ভেঙে নতুন মার্কেট তৈরির উদ্যোগ নেয় সমবায় কর্তৃপক্ষ। এতে ১৫৫টি পরিবার তথা ৩০০ জন বিক্রয়কর্মী বেকার হয়ে পড়েন। এরপর ৮ বছর পেড়িয়ে গেলেও এর কোনো সমাধান হয়নি। এরই মধ্যে ১৯ জন ব্যবসায়ী মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেক দোকান মালিক অন্যের দোকানে কর্মচারী হিসাবে কাজ করে পরিবার চালাচ্ছেন।
অনেক মালিক ব্যাংক ঋণ, এনজিও ঋণ, মহাজনি ঋণ দিতে না পেরে ভিটা বাড়ি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছেন। ইতোপূর্বে ব্যবসায়ীরা তাদের দাবি ও অসুবিধার কথা জানিয়ে সমাধানের জন্য মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ