Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

উপকূল সহ দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্ন চাপে পরিনত হয়ে উড়িশ্যায় এগুচ্ছে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:২৮ পিএম

ভাদ্রের পূর্ণিমার ভরা কাটালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নি¤œচাপে পরিনত হয়ে ভারতের উড়িশ্যার দিকে এগুচ্ছে। এর প্রভাবে উপক’ল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো নদ-নদীর পানি গত ৭২ ঘন্টায় বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে। সাগর মাঝারী মাত্রায় উত্তাল রয়েছে। সামগ্র উপক’ল যুড়ে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎ সংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে উপক’ল সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে আগামী ২Ñ৩দিন অস্থায়ী দমকা হাওয়া এবং বিজলী চমকানো সহ হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টির সাথে বজ্র বৃষ্টিরও সম্ভবনা রয়েছে। সে সাথে দক্ষিণাঞ্চলে ভারি থেকে অতি বর্ষণের সম্ভবনার কথাও বলেছে আবহাওয়া বিভাগ। বরিশালে রোববার দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ৬৩.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বরিশাল মহানগরীর বেশীরভাগ রাস্তা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১ থেকে দেড় ফুট পানির তলায় ছিল। সাগর মাঝারী মাত্রায় উত্তাল রয়েছে। সামগ্র উপক’ল যুড়ে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎ সংলগ্ন উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভুত হয়ে উড়িশ্যা উপকুলে এগুচ্ছে বলে আবহাওয়া বিভাগের বুলেটিনে বলা হয়েছে। এটি তৎসংলগ্ন উত্তরÑপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় নি¤œচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরো পশ্চিমÑউত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। বরিশাল সহ দক্ষিণ উপক’লে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস সহ রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বরিশালে ২মিলি এবং ভোলাতে ১৩মিলি বৃষ্টি হলেও পটুয়াখালীতে ১৯ ও কলাপাড়ায় ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝড়েছে। পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো নদী বন্দরকে ১ নম্বর নৌ হুশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বরিশাল বন্দরে কির্তনখোলা থেকে শুরু করে সাগর উপক’লে বরগুনার পাথরঘাটায় বিষখালী সহ সবগুলো নদÑনদীর পানি শণিবনার দুপুরেই বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে।
ভোলার খেয়াঘাটে তেতুলিয়া দশমিক ৫ সেন্টিমিটার, দৌলত খানে মেঘনা প্রায় দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝালকাঠীতে বিষখালী নদীর পানিও বিপদ সীমার দশমিক ৪ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পায়রা ও বুড়িশ^র নদীর পানি বিপদ সীমার দশমিক ১২ সেন্টিমিটার,বরগুনার পাথরঘাটায় বিষখালী নদীর পানিও ৬০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাউড্রোলজী বিভাগ জানিয়েছে। পিরোজপুরের বলেশ^র ও কঁচা নদীর পানিও বিপদ সীমার দশমিক ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ কৃষি জমি আরেকটি প্লবনের কবলে। তবে গত দুটি বছর ভাদ্রের বড় অমাবশ্যায় দক্ষিন উপকূল যুড়ে ব্যাপক প্লাবনে ফসলী জমি প্লাবিত হবার সাথে প্রবল বর্ষনে জনজীবন বিপন্ন হলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার ভাদ্রের অমবশ্যায় প্লাবন ও বৃষ্টি না হলেও গত মাসে এবং চলতি মাসের পূর্নিমায় সব সয়লাব হয়ে গেছে।
গত মাসের পূর্ণিমার ভরা কাটালেও একইভাবে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার ওপরে প্রবাহিত হবার পাশাপাশি প্রবল বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরে। সাথে বিপুল ফসলী জমি প্লাবিত হয়। এতে দক্ষিণাঞ্চলের বিপুল পরিমান উঠতি আউশ ছাড়াও রোপা আমন ও আমন বীজতলা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমন রোপনে আর মাত্র এক সপ্তাহ অবশিষ্ট থাকলেও এখনো ২০ ভাগ জমিতে বীজ রোপন বাকি।
চলতি খরিপ-২ মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৭ লাখ হেক্টরে আমন আবাদের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে কৃষি মন্ত্রনালয়ের। এমনকি বৃষ্টির অভাবে সদ্য সমাপ্ত খরিপÑ১ মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলে আউশের আবাদ ও উৎপাদনে বিপর্যয় নেমে আসে। আউশ আবাদে লক্ষ্যমাত্রার অনেক পেছনে এবার খাদ্য উদ্বৃত্ত দক্ষিণাঞ্চল। আমন আবাদের সময় শেষ হয়ে আসলেও বীজের অভাবে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়নি। বরিশাল কৃষি অঞ্চলের ১১ জেলায় এবার ২ লাখ ৪ হাজার ৬৭০ হেক্টরে আউশের আবাদ হলেও তা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর পেছনে। ১১-



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ