বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে গত শুক্রবার মধ্যরাতে পর গতকাল শনিবার দুপুরে আবারও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদেৎ মো. সায়েমসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, ক্যাম্পাসের মূল ফটক সংলগ্ন হোটেলে কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের এক কর্মী দুপুরের খাবার খেতে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় রামদা, রড, হকি স্টিক, দেশীয় অস্ত্র, পাস্টিকের পাইপ, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হাসান পলাশ বলেন, গত শুক্রবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হলের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের নিকট এর একটি সমাধান চাই। এদিকে বঙ্গবন্ধু হলের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) খায়রুল বাশার সাকিব বলেন, আমাদের একজন জুনিয়রকে পেয়ে তারা আক্রমণ করে বসে। পরবর্তী তারা সবাই এসে আমাদের কয়েকজনের ওপর হামলা চালায়। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, গত রাতে সংঘর্ষের পর আমি হলেই অবস্থান করি এবং পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখতে চেষ্টা করি। কিন্তু দুপুরে ছেলেরা খাওয়ার জন্য বের হলে তারা হামলার শিকার হয়। যার ফলে পুনরায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ আমার হলের সবাইকে হলে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হই। কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস ড. মিহির লাল ভৌমিককে ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, বিকাল সাড়ে ৫টায় ভিসি সকল হল প্রশাসনকে নিয়ে মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার দুইদিন পরিক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সদর দক্ষিণ থানার পুলিশ ইনচার্জ দেবাশীষ রায় বলেন, ঘটনাস্থলে এসে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চেষ্টা ঘটনার সমাধান করার চেষ্টা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমাধান করতে না পারলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিব।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নামায পড়তে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী সেলিম রেজাকে পথ থেকে সরে দাঁড়াতে বলে কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল রায়হান। পরে সন্ধ্যায় নজরুল হলের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করে বঙ্গবন্ধু হলের এক ছাত্রলীগ কর্মী। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।