Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পটিয়ায় ওএমএস চাল বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার সারাদেশে ৩০ আগস্ট থেকে খোলা বাজারে বিক্রয়ের জন্য ওএমএস কার্যক্রম চালু করেছে। চট্টগ্রামের পটিয়ায় ওএমএস চাল বিক্রয়ে নানা অনিয়ম দুনীর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা দরে প্রতিজন ৫ কেজি করে দৈনিক ৪০০ জনকে ২ মেট্রিক টন চাল বিক্রয়ের নিয়ম রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডিলারগণ চাল বিক্রয় করতে হবে। কিন্তু পটিয়ায় ডিলারগণ সরকারি নিয়ম না মেনে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে ওএমএস চাল বিক্রয় করছে। এতে দরিদ্র জনসাধারণ ঠিক মতো চাল পাচ্ছে না।
পটিয়ায় ৬ জন ডিলার রয়েছে। খাদ্য অফিস প্রতি খোলার দিন ৪ জন ডিলারকে লোকজনের মধ্যে চাল বিক্রয়ের জন্য ডিলার প্রতি ২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়ে থাকে।
কিন্তু ডিলাররা সকাল ৯টার সময় চাল বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেন এবং বেলা ১টার মধ্যে দোকান বন্ধ করে দেন। ৪০০ লোকের স্থলে অন্তত ২০০/২৫০ লোকের মধ্যে চাল বিক্রয় করে থাকে। এছাড়া অন্য ওয়ার্ডের লোক অজুহাত তুলে চাল না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়। এভাবে ডিলারগণ প্রতিদিন ১ টন করে চাল বিক্রয় না করে বেশি দামে বাইরে বিক্রয় করে দেয় বলে সূত্রে জানায়।
গত ৮ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর পৌনে ১২টায় পোস্ট অফিস মোড়ে ডিলার রফিকুল আলমের দোকানে ২১০ জন, দুপুর ১টায় মাজার গেটে ডিলার শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর দোকানে ৩০০ জনের মধ্যে চাল বিক্রয় করে দোকান বন্ধ করে দিয়ে হিসাব করছিলেন।
বেলা দেড়টায় কাগজীপাড়ায় ডিলার আবদুর রহমান বিক্রয় কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ সময় বিক্রয় খাতায় ৩৮০ জনের নাম থাকলেও রহমান বলেন ২০০ জনকে ওএমএস দেয়া হয়েছে। অন্যারা টিসিবির মাল নিয়েছে।
মুন্সেফ বাজার এলাকার দরিদ্র আবদুল আজিজ জানান, তাকে ৫নং ওয়ার্ডের লোক বলে ৪নং ওয়ার্ডের ডিলার চাল দেয়নি। চাল বিক্রয়ে দরিদ্র লোকজনকে হয়রানি করা হচ্ছে। যেভাবে চাল বিক্রয় করছে তাতে প্রতিমাসে প্রতি ডিলার প্রায় ১০ টন চাল বাহিরে বিক্রয় করার সুযোগ রয়েছে।
উপজেলা খাদ্য অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজশে ডিলারগণ অনিয়ম করার সুযোগ পাচ্ছে বলে লোকজনের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রমিত কুমার চাকমা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পটিয়া পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল জানান, পটিয়া পৌরসভার কিছু ডিলার ওএমএস চাল বিক্রয়ে অনিয়ম করছে। তবে তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ