পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোজাম্মেল হক খানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি হয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হিসেবে নিয়োগ পান কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের স্থলাভিষিক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হওয়ার পাঁচ দিন পর মোজাম্মেল হক খানকে জনপ্রশাসন সচিব করা হলো।
২০০৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্ব পান মোজাম্মেল হক খান। এরপরই জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সচিবের দায়িত্ব পালনের সময় পদোন্নতি পেয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব হন তিনি। বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা এর আগে সড়ক বিভাগ; বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
জানা গেছে, মোজাম্মেল হক খান মুখ্য সচিব পদে কামাল চৌধুরীকে নিয়োগের প্রক্রিয়ার মধ্যেই নতুন জনপ্রশাসন সচিব নিয়োগে কার্যক্রম শুরু হয়। তবে জনপ্রশাসনে কর্মরত জ্যেষ্ঠ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে, নাকি জুনিয়র ব্যাচ থেকেই এ মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা চলছিল বলে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।
আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ’র পিএস এবং সাবেক ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার আমিন মিয়া চৌধুরীর পিএসের দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন। এক সময় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পরিচালকের (ফাইন্যান্স) দায়িত্ব পালন করা মোজাম্মেলের চাকরির মেয়াদ রয়েছে আরও প্রায় দুই বছর। বর্তমান সরকারের মেয়াদ পূর্তির ঠিক আগে আগে ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা তার। ৫৭ বছর বয়সী মোজাম্মেলের বাড়ি মাদারীপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার পর মিসর থেকে পিএইচডি করেছেন তিনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আগে প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকলেও বর্তমান সরকারে এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আর ইসমাত আরা সাদেক আছেন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।