পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর। গতকাল শুক্রবার শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের কি অর্জন হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব ওই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ভারতে তখন দিনাজপুর সীমান্তে বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা লাশ পেয়েছি।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব। পরে মরহুম নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে বাংলাদেশের অর্জন এখন পর্যন্ত আমরা যেটা দেখতে পারছি যে ৫৩ কিউসেক পানি কু্শয়িারা নদীর। এছাড়া এখন পর্যন্ত আমরা দৃশ্যমান কোনো অর্জন দেখতে পাইনি। যেটা দেখতে পারছি- ভারতের থেকে ৫শ’ মিলিয়ন ডলারের একটা প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে যানবাহন কেনার জন্য। আর বলা হয়েছে- সীমান্তে হত্যা জিরোতে আনা হবে। যেদিন এ কথা বলা হয়েছে সেদিনই দিনাজপুরের সীমান্তে একজনকে হত্যা করা হয়েছে আর দুই জন এখনো নিখোঁজ। এটা হচ্ছে প্রাপ্তি। আমাদের দৃশ্যমান প্রাপ্তি এগুলো।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা আগেও বলেছি যে সরকার আরেকটা পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে এ সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন যে- তিনি ভারতীয় নেতাদের কাছে অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগ সরকারকে যেকোনো উপায়ে টিকিয়ে রাখার জন্য তারা যেন ব্যবস্থা নেয়। আমরা সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি- যে সমস্ত দেশ গণতান্ত্রিক তারা সবসময় সারা বিশ্বে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার জন্য জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত কোর জন্য তাদের ভূমিকা অক্ষুন্ন রাখবে। ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ, গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা এটাও বিশ্বাস করি ভারতও তাদের গণতান্ত্রিক যে চরিত্র সেই চরিত্রকে অক্ষুন্ন রাখবে।
সারাদেশে হামলা নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব তারা শুরু করেছে। সন্ত্রাস দিয়ে কখনো টিকে থাকা যায় না। কথায় কথায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বলতে শুরু করেন, আমরা সভা সমাবেশে বাধা দেব না। বিএনপি যদি সন্ত্রাসী কাজ করে তখন তাদের ছাড় দেয়া হবে না। আমি বলি, বিএনপি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না এবং সন্ত্রাস করেও না। এখন পর্যন্ত বিএনপির কোনো সন্ত্রাসের চিত্র আসেনি, সন্ত্রাসের চিত্র যা এসেছে তা ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীরা চড়াও হয়েছে গণতন্ত্রকামী মানুষের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর। আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং জনগণের শক্তি দিয়েই এদেরকে পরাজিত করব।
বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দী প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের গণতন্ত্রের মাতা যিনি গণতন্ত্রের জন্য সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যে মামলায় সাজা দিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। এখনো অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় তাকে চিকিৎসা না দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যে মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ৩০ লাখ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেয়া হয়েছে। যখন আমরা নিত্যপণ্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, ভোলাতে আমাদের দু’জন কর্মী মারা গিয়েছেন তাদের হত্যার প্রতিবাদে এবং নারায়ণগঞ্জে শাওন হত্যার প্রতিবাদে যখন আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি তখন সেই সরকার তাদের পুলিশ বাহিনী এবং সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নির্যাতন করে হাজার হাজার লোকের বিরুদ্ধে আবার সেই আগের মতো অজ্ঞাতনামা মামলা করছে। এখন তারা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে অত্যাচার করছে নির্যাতন করছে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য, মানুষের ভোটাধিকার ফিরে আনার জন্য লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি। আমরা বিশ্বাস করি এই লড়াইয়ের মাধ্যমে ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হব।
এ সময় মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, নাজমুন্নাহার বেবী, নেওয়াজ হালিমা আরলী, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।