পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পুলিশের ওপর গুলি করে আটককৃত বাবাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে মাদককারবারী ছেলে ও তার সহযোগীরা। এ সময় পুলিশের দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৩-৪ জন অজ্ঞাতকে আসামি করে একটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা হয়েছে। আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল ও এসআই রনি সোরে রানা।
পুলিশ জানায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামের মৃত সুধন মিয়ার ছেলে মাদক কারাবারি মন্নাফ ওরফে মনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ডাকাতি, চুরি, হত্যা, ধর্ষণসহ ১৫টি মামলার রয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায় পুলিশ। কিছুদিন আগে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও মাদক বেচাকেনা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় সে। তার ছেলে শিপন ডাকাতি ও মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।
তারা বাবা-ছেলে এলাকায় অবস্থান করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতেই নূরজাহানপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মনেককে আটক করে পুলিশ। আটকের খবর পেয়ে তার ছেলে শিপনসহ কয়েকজন মাদক কারবারি হঠাৎ করে পুলিশের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় আটককৃত আসামি মনেককে নিয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
মাদককারবারিদের গুলিতে নবীনগর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল ও এসআই রনি সোরে রানা গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ এসআই রনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা প্রেরণ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, মাদক কারাবারি ও ডাকাত মন্নাফ ওরফে মনেক ও তার ছেলে শিপনসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।