হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
মোবায়েদুর রহমান : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি নতুন এবং অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটি কোনদিন ভারতের ৬৯ বছরের ইতিহাসে দেখা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গে ঝড়বাদল নাই, বন্যা সাইক্লোন নাই, নাই কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা সরকারবিরোধী দুর্বার গণআন্দোলন। তার পরেও কথা নেই, বার্তা নেই, হঠাৎ করে গত শুক্রবার থেকে কলকাতার বেশ কয়েকটি স্থানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সরকার সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক সরকার। পর পর দু’টি মেয়াদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন এবং ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন। প্রথম মেয়াদে নিশ্চয়ই তিনি ভালো কাজ করেছিলেন। তাই আগের চেয়ে অনেক বেশি আসন দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ তাকে এইতো কিছুদিন আগে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত করেছেন। সুতরাং নিঃসন্দেহে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের নন্দিত নেত্রী। এই জনপ্রিয়তা, এই যোগ্যতা তিনি নিজে অর্জন করেছেন। মমতার তৃণমূল ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি করছে আরও তিনটি বড় রাজনৈতিক শক্তি। এগুলো হলো (১) সর্ব ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (২) ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি এবং (৩) সিপিএম (মার্কসিষ্ট-লেনিনিষ্ট)। বলা বাহুল্য, তিনটিই জাঁদরেল পলিটিক্যাল পার্টি। এই তিনটি রাজনৈতিক দলকেই পরাস্ত করে মমতা ক্ষমতায় এসেছেন।
এমন একজন নেত্রী এবং তৃণমূল থেকে উঠে আসা এমন একটি দল ক্ষমতায় অথচ এমন গণতান্ত্রিক পরিবেশে হঠাৎ করে সেনা মোতায়েন করা হলো অথচ সরকার প্রধান এবং নন্দিত জননেত্রী কিছুই জানলেন না, সেটা কি কখনো হয়? তাই মমতা ব্যানার্জী ক্ষিপ্ত হয়েছেন। তিনি তীব্র ভাষায় সেনা মোতায়নের নিন্দা করেছেন এবং অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহারের জন্য ভারতের দিল্লী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সরকার এই দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি। এর প্রতিবাদে মমতা ব্যানার্জী মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে উঠেছেন। তার অফিসের নাম নবান্ন। যে দিন এই কলাম লিখছি সেদিন পর্যন্ত তিনি নবান্নেই আছেন। তার অফিস থেকে বলা হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত তার অফিস এবং কলকাতা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করা না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি দিবারাত্রি অফিসেই অবস্থান করবেন। পরিস্থিতিকে শুধুমাত্র আমরাই গুরুতর বলছি না, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বয়ানেও পরিস্থিতির গাম্ভীর্য বোঝা যায়। তিনি বলছেন, ‘It seems that the central government is trying to create a civil war like situation in the country’ অর্থাৎ, মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করছে। (The Hindu, 01 December 2016)
গত ২ ডিসেম্বর শুক্রবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘হিন্দুস্তান টাইমসে’ এ সম্পর্কে একটি সবিস্তার রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কলকাতার নিকটে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ভারতের পার্লামেন্টে গত শুক্রবার তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিরোধী দল অভিযোগ করে যে, সেনা উপস্থিতির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গকে ভয় দেখানো হচ্ছে। পক্ষান্তরে সরকারি দল এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়। বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ঘোষণা করেন যে, তিনি রাত্রে সচিবালয়েই থাকবেন। মমতার এই ঘোষণার পর দিন ভারতীয় পার্লামেন্টে এই বিষয়টি নিয়ে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কলকাতার রাস্তায় দেখা যায় যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া থামাচ্ছে এবং চেক করছে। মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যরা পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে অধিবেশনের কার্যক্রমে বিঘœ সৃষ্টি করেন। তারা বলেন যে, তাদের প্রদেশে সেনাবাহিনী তলব করে ভারতের ফেডারেল কাঠামোকে বিনষ্ট করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তারা সরকারের নিকট থেকে জবাব চান। তৃণমূল কংগ্রেসকে এই ইস্যুতে সমর্থন দেন জাতীয় কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দল। তারা এ ব্যাপারে সরকারের নিকট থেকে ব্যাখ্যা দাবি করেন।
‘হিন্দুস্তান টাইমসের’ রিপোর্ট মোতাবেক বিরোধীদলীয় নেতারা বলেন যে, সেনা মোতায়েন করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। এটি ভারতের সংবিধানের ওপর একটি বড় আঘাত। ‘বহুজন সমাজ পার্টির’ প্রধান মায়াবতী রাজ্যসভায় বলেন, সেনাবাহিনীকে দলীয়করণ করা উচিত নয়। কংগ্রেসের তরফ থেকেও মমতা ব্যানার্জীকে সমর্থন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিকট থেকে এই মর্মে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় যে, সংবিধান লঙ্ঘন করা হচ্ছে কেন? তারা আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার সীমার বাইরে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী তো চাদা তোলে না। সেনাবাহিনীকে ডাকার মত রাজ্যে কোনো আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও বিরাজ করছে না।’ এসব অভিযোগের জবাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকর বলেন, এটি সেনাবাহিনীর একটি রুটিন কার্যক্রম। এই ধরনের একটি রুটিন কার্যক্রমকে বিরোধী দল বিতর্কের বিষয়ে পরিণত করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভেংকায়া নাইডু বলেন, ‘বহুদিন ধরেই এমন রুটিন কার্যক্রম চলছে। গত বছরও এই ধরনের কার্যক্রম চলেছে এবং তার আগের বছরও চলেছে। তাই আপনারা সেনাবাহিনীকে এই বিতর্কে জড়াবেন না।’
সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও বিরোধী দলের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, তারা চাদা তুলছেন না। বহুদিন ধরে চলে আসা তাদের নিয়মিত কার্যক্রমের এটি একটি অংশ মাত্র। কিন্তু তৃণমূল অভিযোগ করে যে, এসব কথা ঠিক নয়। বরং এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে তারা সংসদকে বিভ্রান্ত করছেন। তৃণমূল থেকে বলা হয় যে, এটি মমতা ব্যানার্জীকে ভয় দেখানোর একটি পদক্ষেপ। ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ফলে কোটি কোটি মানুষের যে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে, জনগণের তরফ থেকে সেই দুর্ভোগের বলিষ্ঠ প্রতিবাদ করেছেন মমতা ব্যানার্জী। সে জন্যই তাকে ভয় দেখানো হচ্ছে। এমন একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল অথচ যে রাজ্যে সেনাবাহিনী নামানো হলো সেই রাজ্যের সরকারকে কিছুই জানানো হলো না।
॥ দুই ॥
এ সম্পর্কিত অপর একটি খবরে প্রকাশ, সেনাবাহিনীর কর্মসূচি নিয়ে ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানিয়েছেন, উড়িষ্যা, বিহার, কেরালা, ছত্তিশগড়, সব রাজ্যে খবর নিয়েছেন আমলারা। কোথাও সেনার এমন কর্মসূচির খবর নেই। সেনার কর্মসূচি চলছে শুধু বাংলাতেই। মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সেনা অভ্যুত্থানের অভিযোগ এনেছেন মমতা। প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে তার প্রশ্ন, দেশে কি জরুরি অবস্থা চলছে? গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার টোলপ্লাজায় সমীক্ষা চালাতে দেখা যায় সেনাবাহিনীকে। এমনকি নবান্নের নাকের ডগায় দ্বিতীয় হুগলি সেতুতেও সেনাবাহিনীকে কাজ করতে দেখা যায়। তাতে বেজায় চটে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিদ্যাসাগর সেতুর টোলপ্লাজা স্পর্শকাতর এলাকা, রাজ্যের সচিবালয়ের আওতায় পড়ে। বিদ্যাসাগর সেতুর টোলপ্লাজা থেকে সেনা না সরানো পর্যন্ত নবান্নে থেকে যাওয়ার হুমকি দেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার কলকাতায় বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিনই রাজ্যের বিভিন্ন টোলপ্লাজা ও জাতীয় সড়কে সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন বাংলার মন্ত্রী ও বিধায়করা। সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে এদিন বিধানসভা থেকে মিছিল করে রাজভবনে গিয়ে ধরনা দেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী-বিধায়করা। টানা তিন ঘণ্টা ধরনায় অংশ নিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মমতার মন্তব্য, ‘এতে মনে হয় দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি। জরুরি অবস্থার চেয়েও ভয়াবহ। গণতন্ত্রের কালো দিন। অতি কালো দিনের মুখোমুখি হচ্ছি আমরা। কী ঘটল যে, কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে জানানোর প্রয়োজন মনে করল না। নবান্নের নাকের ডগায় সেনা কেন? রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে সেনাকে কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্র।’ রাতে নবান্নে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, সচিবালয়ের বাইরে থেকে যতক্ষণ না সেনা প্রত্যাহার হবে, ততক্ষণ তিনি নিজে নবান্নে থাকবেন। সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, টানা ৩০ ঘণ্টা অবস্থানের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নবান্ন ত্যাগ করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের সেনা মোতায়েনের বিষয়টি একান্তভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের নিকট প্রতিবেশী। বাংলাদেশের সাথে এত সুদীর্ঘ সীমান্ত ভারতের অন্য কোনো প্রদেশের নাই। তাই পশ্চিমবঙ্গে সেনা মোতায়েনের খবরে বাংলাদেশ স্বাভাবিকভাবেই উৎকর্ণ হয়ে ওঠে। এ ব্যাপারে তৃণমূলসহ বিরোধী দলের সদস্যরা যে বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন সেটি হলো তাদের ফেডারেল স্ট্রাকচার সংরক্ষণ এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ ও অব্যাহত রাখা। গণতন্ত্রের জন্য মমতাসহ অন্যদের উদ্বেগ প্রশংসার দাবিদার। আমাদের বিশ্বাস, ইস্যুটি হয়তো পার্লামেন্টারি বিতর্ক এবং সরকারের সাথে বিরোধী দলের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই ফয়সালা হয়ে যাবে। যেদিন এ লেখাটি ছাপা হবে, সেদিন হয়তো দেখা যাবে যে, এর মধ্যেই হয়তো বিষয়টির ফয়সালা হয়ে গেছে।
ভারতের অনেক কিছুই এই সরকার অন্ধের মত অনুসরণ করে। কিন্তু যেটি অনুসরণ করে না সেটি হলো তাদের অভ্যন্তরে ডেমোক্র্যাটিক স্পিরিট। শুধুমাত্র ভারতের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব ছাড়া সব বিষয়েই তারা কথা বলে। তার জন্য তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন বা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয় না। বরং বিরোধী দলই সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। সদ্য সমাপ্ত মার্কিন নির্বাচনটাই দেখুন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কত রকম অভিযোগ আনা হলো। তিনি উন্মাদ, তিনি নারী লোভী, এই ধরনের অনেক ব্যক্তিগত আক্রমণও করা হয়। সেই ট্রাম্প এখন বিজয়ী। আর এক মাস ১৪ দিন পর তিনি হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করবেন (অবশ্য ৩টি রাজ্যে যে রিকাউন্টিং হওয়ার কথা রয়েছে সেই রিকাউন্টিং যদি হয় এবং তার ফলে ফল যদি উল্টে না যায়)। ট্রাম্প কিন্তু তাকে গালাগালি করার জন্য কারো বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি। আমেরিকা ভারত প্রভৃতি দেশের বিদেশ নীতি এদেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ পছন্দ করে না। তাদের বিদেশ নীতির ফলে মুসলিম জাহান ক্ষতিগ্রস্ত এবং কোণঠাসা। এগুলো তাদের বিদেশ নীতি। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত উদার। স্মরণ করুন, হিলারি ক্লিনটন হেরে যাওয়ার পর ক্যালিফোর্নিয়াসহ অনেকগুলি অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ হয়। ঐ বিক্ষোভে একাধিক স্থানে আমেরিকার জাতীয় পতাকাও পোড়ানো হয়। তারপরেও কোনো বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলাও হয়নি। তাই বলে আমি এই কথা বলছি না যে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ালে আমরা তাদের মত সহনশীল হব। ঐ সব অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় বাদ দিয়ে অন্য বিষয়কে আমরা কি গণতান্ত্রিক উদারতার শিক্ষা হিসাবে নিতে পারি না? আওয়ামী লীগ তো মরহুম সোহরাওয়ার্দীর উত্তরসূরী। দলটি কি তার মূল নেতা সোহরাওয়ার্দীর গণতান্ত্রিক উদারতার পতাকাকে সমুন্নত করতে পারে না?
Email: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।