বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নীলফামারী সৈয়দপুর আন্ত:স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কাবাডি খেলায় দুই স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় একই প্রতিষ্ঠানের ৩ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুত্বর। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত অপর দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।
এ ঘটনায় খেলাটি স্থগিত করাসহ জরুরী সভা ডেকেছে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি। ঘটনাটি ঘটেছ বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় সৈয়দপুর উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে।
জানা যায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলা ও সাঁতার প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করা হয় সকাল ১০ টায়। এরপর বিভিন্ন ইভেন্টের খেলা চলছিল। বেলা ১২ টার দিকে কাবাডি ইভেন্টের শেষ খেলায় অংশগ্রহণ করে উপজেলা বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ দল এবং পৌরসভার নতুন বাবুপাড়া জানেরপাড় এলাকার বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় দল।
খেলার শুরুতেই লক্ষণপুর স্কুল দলের খেলোয়াড় দম দিতে গেলে বঙ্গবন্ধু স্কুল দল তাকে রেফারীর বাঁশী বাজানোর পরও ধরে রেখে হেনস্থা করে। এর প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু দলের খেলোয়াড় দম দিতে গেলে লক্ষণপুর দলও একই আচরণ করলে প্রতিপক্ষ দলের সকল ছাত্ররাও ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের উপর। এতে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক মারামারি বাধে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এই ঘটনায় আহত ৩ জনই লক্ষণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা হলো দশম শ্রেণীর ছাত্র আখিরুজ্জামান (১৬) ও এহসানুল হক (১৭) এবং নবম শ্রেণীর ছাত্র নাঈম (১৫)। নাঈম ও আখিরুজ্জামান প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও গুরুত্বর আহত হওয়ায় এহসানুল হক ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সে বুকের ব্যাথায় ছটফট করছে।
এহসানুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু স্কুলের ছেলেরা অতর্কিত আক্রোশমুলক হামলা করে। কাবাডির খেলোয়াড়রা ছাড়াও অন্য ইভেন্টের খেলোয়াড় ও সাধারণ ছাত্ররা এমনকি শিক্ষকরাও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। আমাদের স্যাররা বাধা দিয়েও পারেনি। আমাকে মাটিতে ফেলে বুকে পিঠেসহ সারা শরীরে পায়ের বুট দিয়ে এলোপাথাড়ি লাথি মেরেছে। প্রচন্ড আঘাত পেয়ে আমি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। বুকের ব্যাথায় বেশী কাহিল।
লক্ষণপুর স্কুলের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, চরম অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে বঙ্গবন্ধু স্কুলের শিক্ষার্থীরা। অতর্কিত ও সংঘবদ্ধ আক্রমণে আমার ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। একজন হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।