Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় অর্থনীতিতে রাবার শিল্পের অবদান উত্তরোত্তর বাড়ছে: পরিবেশমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:৪৮ পিএম

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও প্রসারে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের রাবার শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় অর্থনীতিতে রাবার শিল্পের অবদান উত্তরোত্তর বাড়ছে।

তিনি বলেন, দেশে উৎপাদিত উন্নত মানের রাবার অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্পের সম্প্রসারণ এবং বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পাদন করেছে। এ খাতের উন্নয়ন হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে, বেকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের এর আয়োজনে প্রথম প্রাকৃতিক রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্পপণ্য মেলা-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রায় ৪০ হাজার একর জমিতে ১৮টি রাবার বাগান সৃজন করেছে। বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি ৩৩ হাজার একর জমি রাবার চাষের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে।

খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিসহ দেশের ১২টি জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ১৩ হাজার ২০০ একর জমিতে রাবার চাষের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করছে রাবার বোর্ড। রাবার চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সংগঠিত হয়ে খাতটির উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

সরকারি জমি ইজারা নেওয়া ব্যক্তিদের আন্তরিকতার সঙ্গে রাবার চাষ করতে হবে জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সিনথেটিক রাবার আমদানি না করে দেশীয় প্রাকৃতিক রাবার ব্যবহারের জন্য রাবারভিত্তিক শিল্প উদ্যোগ নিতে হবে। এতে কার্বন শোষণের পরিমাণ বাড়বে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাস করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় গ্লোবাল কার্বন ট্রেডিং এবং এনভাইরন্টাল ফান্ড থেকে সহায়তা নেওয়া সম্ভব হবে।

এই শিল্পের প্রসারে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাবারজাত অধিক পণ্য দেশে উৎপাদনের জন্য শিল্প উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে উন্নত মানের রাবার গাছ লাগাতে হবে। তাহলে উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার এবং এফবিসিসিআই পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।

উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী মেলা ঘুরে দেখেন। রাবার মেলা ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবেশমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ