Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বনের গাছ না কাটতে পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২২, ৮:৩৯ পিএম

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বনের কোন বৃক্ষ না কাটতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বন অধিদপ্তর মিলনায়তনে জাতীয় বৃক্ষমেলা-২০২২’র সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।
শাহাব উদ্দিন বলেন, অবৈধভাবে বনের গাছ কাটা বন্ধ না হলে আন্তর্জাতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না। আর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হবে না।
মন্ত্রী বলেন, আগে মানুষ কম ছিল, বন বেশি ছিল। তবে এখন হিসেব বদলেছে। বনে বসবাস করা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরাও বনের ভেতর বড় জনপদ গড় তুলছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের বনের পরিমাণ ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। আমাদের প্রয়োজন ২৫ শতাংশ বনায়ন। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বনায়নের যে লক্ষ্য, তা অর্জনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত পাহাড় ও বনের গাছ কাটা যাবে না।
এসময় টিলা কাটা ও নদীভরাট বন্ধ করে অধিক হারে বৃক্ষরোপণের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লঅহ হারুন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান এবং নির্বাচিত স্টল মালিকদের পক্ষে জাতীয় বৃক্ষমেলায় প্রথম স্থান অধিকারী বরিশাল নার্সারির মালিক মো. ইব্রাহিম।
শাহাব উদ্দিন বলেন, দেশে সবুজ আচ্ছাদন তৈরি করে টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিবছর আয়োজিত বৃক্ষমেলা ও বৃক্ষরোপণ অভিযান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, এ বছর রাজধানীর শেরে বাংলা নগরস্থ মাঠে আয়োজিত জাতীয় বৃক্ষমেলায় সর্বমোট ১৬ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি চারা বিক্রি হয়েছে । দেশের সকল বিভাগ ও জেলাতে এবং বেশ কিছু উপজেলাতেও বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়েছে। দেশব্যাপী আয়োজিত এ বৃক্ষমেলায় বিক্রয় ও রোপণ করা হচ্ছে কোটি কোটি বৃক্ষ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বন ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমকে বৃক্ষরোপণ অভিযানে রূপ দেয়া হয়েছে। সকলের অংশগ্রহণে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে এসডিজি'র লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী "বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৯ ও ২০২০" এবং সামাজিক বনায়নের ৬ জন উপকারভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের ৩৭ লক্ষ টাকার চেক, নির্বাচিত স্টল মালিকদের এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।
এবারের জাতীয় বৃক্ষমেলায় মোট স্টল ছিলো ১১০টি। এর মধ্য ৮০টি স্টলে ৬৩টি ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারী, ১৫টি স্টলে ৩৮টি সরকারী প্রতিষ্ঠান, ৬টি স্টলে ৪টি বেসরকারী সংস্থা এবং ৯টি স্টলে ২টি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
এ বছর জাতীয় বৃক্ষমেলায় মোট ১২ কোটি ৪২ লক্ষ ৩০ হাজার ২৪২ টাকার চারা বিক্রয় হয়। এ বছর জাতীয় বৃক্ষমেলায় মোট বিক্রিত চারার সংখ্যা এবং বিক্রয়মূল্য পূর্বেকার যে কোন বছরের তুলনায় বেশী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবেশমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ