পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি মাসের শেষে চালু হচ্ছে ছয় লেনের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু। সেতুটি নারায়ণগঞ্জ শহরকে বন্দর উপজেলার সাথে সংযুক্ত করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে এবং পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো ও চট্টগ্রামের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর হবে।
সেতুটির প্রকল্প পরিচালক শোয়েব আহমেদ বলেন, ১.২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী যানবাহনগুলো নারায়ণগঞ্জ শহরকে বাইপাস করতে পারবে এবং যানজট এড়াতে ও সময় বাঁচাতে সক্ষম হবে। সেতুটি উদ্বোধনের পর দেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে চাঙ্গা হবে কারণ এটি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে যানবাহনের যাতায়াতে সময় কমাবে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে সড়কগুলো পুনঃসংযোগ দিলে দেশ এ সেতু থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পাবে। তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে সেতুটি যানবাহনের জন্য খুলে দেয়ার কথা ছিল। তবে ৯৭ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হওয়ায় সময়সীমার তিন মাস আগে এই মাসের শেষের দিকে সেতুটি উদ্বোধনের কথা ভাবছে সরকার।
সেতুটি পূর্বে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ এবং পশ্চিমে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুরের সঙ্গে যুক্ত হবে। এখন মোটরচালিত নৌকা নদীর দুই পাড়ের মানুষদের জন্য যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। সরেজমিনে গতকাল গিয়ে দেখা যায়, টোল প্লাজা ও এপ্রোচ সড়কের কিছু কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সেতুর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা আশা করছেন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ইউসুফ আতিক মালিক বলেন, শীতলক্ষ্যা সেতু চালু হলে পঞ্চবটি বিসিক শিল্প এলাকা, পঞ্চবটি মোড়, চাষাড়া মোড়, সাইনবোর্ড, নারায়ণগঞ্জের চট্টগ্রাম সড়ক বা ঢাকার পোস্তগোলা ও শনির আখড়া রুটে যানবাহনকে তীব্র যানজটের সম্মুখীন হতে হবে না। যানবাহনগুলো রাজধানীর পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ শহরকে বাইপাস করতে পারবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেতুটি চালু হলে রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জ শহরের ওপর যানবাহনের চাপও কমবে।
বন্দর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ কে এম মোমিনুল হক বলেন, এই সেতু গ্রামীণ জনপদকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নতুন নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। বিকেএমইএ সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সেতুটিকে ঘিরে মেঘনার বিভিন্ন চর অঞ্চলে অর্থনৈতিক জোন তৈরি হচ্ছে। বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় কলকারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। এসব এলাকায় কর্মসংস্থান বাড়বে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগড়াপাড়া ও মদনপুর এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানবাহনগুলো এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক হয়ে সরাসরি বন্দরের রাস্তায় উঠবে। এই সেতুর রাস্তা থাকবে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর পর্যন্ত। সেখান থেকে শ্রীনগর হয়ে চলে যাওয়া যাবে পদ্মা সেতুর ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা সুপার এক্সপ্রেসওয়েতে। তা ছাড়া রাজধানী থেকে ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহর দিয়ে সেতু পার হওয়া যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।