Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে রক্ষা ইসির

| প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদসহ পাঁচ নির্বাচন কমিশনার ও একজন সিনিয়র সহকারী সচিবসহ মোট ছয়জন। অন্যরা হলেনÑ কমিশনার আবদুল  মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী, মো: শাহনেওয়াজ ও সিনিয়র সহকারী সচিব মিজানুর রহমান। গতকাল রোববার বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন ও বিচারপতি মো: বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় পর তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ দেন। আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন ড. মো: ইয়াসিন। এর আগে হাইকোর্ট বলেছিলেন, অভিযোগের নিষ্পত্তি না করে প্রার্থীদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে নির্বাচন কমিশন একটি আধা ফৌজদারি অপরাধ করেছে। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসিসহ ওই ছয়জন গত ২৬ নভেম্বর শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জমা দেন। হলফনামা আকারে জমা দেয়া নিজেদের বক্তব্যে কমিশন বলেছে, আদালতের আদেশটি তারা বুঝতে পারেনিন। যে কারণে তারা ভুলবশত ভিন্নরূপ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ভুলকে অনিচ্ছাকৃত উল্লেখ করে ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছে কমিশন। বলেছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল আর হবে না।
গত ৭ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এক আবেদনে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড ভোটকেন্দ্রের ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও কারচুপির কারণে ভোট বাতিল বা পুনঃনির্বাচনের আবেদন করেন মো: জাহিদুল ইসলাম।
আবেদনটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় চাঁদপুরের চরভৈরবী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিইসিসহ ছয়জনকে প্রতিপক্ষ করে হাইকোর্ট বিভাগে পিটিশন দায়ের করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে আদেশের কপি পাওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এ অভিযোগের নিষ্পত্তি করার জন্য ১৬ জুন রুল জারিসহ আদেশ  দেন আদালত। হাইকোর্টের আদেশের কপি ইসি সচিবালয় ৩০ জুন ও আইন শাখা ১০ জুলাই তারিখে হাতে পায়। ১৮ জুলাই প্রার্থীকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার পরামর্শ দেয় ইসি। ইউপির ফল গেজেটে প্রকাশ না হওয়ার আগেই ইসির আদালতে যাওয়ার পরামর্শের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করেন অভিযোগকারী।
গত ২৬ নভেম্বর সিইসিসহ চার কিমিশনার সশরীরে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার অফিসে উপস্থিত হয়ে হলফনামা করে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। এরপর গত ২৬ নভেম্বর সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার শাখায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া’ সংক্রান্ত এফিডেভিটে স্বাক্ষরসহ আবেদন জমা দেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের অব্যাহতি দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ