Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই কোটি বিশ লাখ টাকার সেতুতে মিলছে না সুফল

সংযোগ সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারের নানা বাহানা

নুরুল আবছার তালুকদার, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ঠিকাদারের নানা বাহানায় তিন বছরেও নির্মাণ হলো না চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কেঁয়াগড়-সিংহরা খালের সেতুর সংযোগ সড়ক। সেতু নির্মাণ হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় দুর্ভোগের শেষ হচ্ছেনা দুই পাড়ের দশ হাজারেরও অধিক মানুষের। ফলে দুই কোটি বিশ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির কোন সুফল পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কেঁয়াগড়-সিংহরা গ্রামের সংযোগ সড়কে খালের ওপর ২০২০ সালে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। এই কাজের ঠিকাদারী নেন মো. ইসমাইল নামে এক ঠিকাদার। নানা জটিলতা দেখিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুই বছর পার করলেও সেতুর পুরো কাজ শেষ করতে পারেনি। এরই মধ্যে ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত কাজ শেষ করতে বাধ্য করায়। কিন্তু ঠিকাদার সেতুর কাজ শেষ করলেও সংযোগ সড়কের কাজ না করেনি। এতে করে সেতুটির কোন সুফল এলাকাবাসী পাচ্ছেনা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সৈয়দ নুর বলেন, এই সেতু দিয়ে চাতরী ইউনিয়নের মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করে, কিন্তু জোড়াতালি দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটির কোন সুফল পাচ্ছেনা জনগণ।
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার মো. ইসমাইল বলেন, সংযোগ সড়কের নকশা পরিবর্তন করে যে জায়গা দিয়ে সড়ক নির্মাণের নকশা দেয়া হয়েছে তা একটা ডোবা। এই ডোবার ওপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ কখনো সম্ভব নয়। বিষয়টি আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকেও বলেছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল বলেন, ঠিকাদার ইচ্ছাকৃতভাবে সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজটি ঝুলিয়ে রেখেছে। এতে করে দুই পাড়ের মানুষ দুর্ভোগের শেষ নেই। সেতুটিও কোন উপকারে আসছেনা। কাজটি দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারকে একাধিকবার তাগাদা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান বলেন, কেঁয়াগড়-সিংহরা সেতুর সংযোগ সড়কের নকশা পরিবর্তন করায় নতুনভাবে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এরপরও ঠিকাদার ইচ্ছাকৃতভাবে কাজটি সম্পন্ন করছেন না। দ্রুত কাজ শেষ করতে কয়েকদিন আগেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ