রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রাজবাড়ির গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে মাছ না থাকায় জেলেরা অলস সময় পার করছে এবং জাল নদীর পাড়ে পালা করে রেখে দিয়েছে।
সরেজমিনে জেলেদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে চরমভাবে স্্েরাত দেখা দিয়েছে। যার কারণে নদীতে জাল জটা হয়ে যায়, তারপর নদীতে একে বারেই মাছ নেই, শুধু কষ্ট করতে হয়। এভাবে আর কতদিন চলবে ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে পারছি না। অনেক কষ্টে আছি আমরা। আমাদের মধ্যে অনেক জেলারা মানুষের বাড়িতে জন খাটছে। কি করার আছে সংসার তো চালাতে হবে। আমরা তো দুই ধরনের জাল নদীতে বেয়ে বেড়াই, একটি হলো ফ্যাশন জাল আর একটি হলো গুটিকোনা। এসব জালের মাছ নদীতে একেবারেই নেই। আজ ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে বেকার হয়ে আছি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা যদি আমাদের একটি জেলে কার্ড করে দিতো তাহলে ছেলে মেয়ে নিয়ে কোন রকম খেয়ে বেঁছে থাকতে পারতাম।
জেলে জলিল শেখ বলেন, প্রায় এক মাসের মত হলো মাছ ধরতে নদীতে যাচ্ছি না কারণ আমরা যে মাছ ধরি সে সকল মাছ নদীতে নেই। দেখেন আমাদে জালগুলো নদীর পাড়ে ফেলে রেখেছি। আমাদের নৌকার ভাগিরা কেউ আর নৌকায় আসছে না তারা এলাকাতে কামলা দিচ্ছে সংসার তো চালাতে হবে। দেখেন নদীতে একটিও মাছ ধরার নৌকা নেই সব নৌকা এখানে বেধে রাখা হয়েছে। এই মাসটি আমাদের এভাবেই যাবে সামনের মাস থেকে যদি মাছ নদীতে আসে তখন আমরা আবার নদীতে মাছ ধরতে যাব।
মৎস্য কর্মকর্তারা যদি আমাদের ওপর একটু নজর রেখে জেলে কার্ড করে দিতো তা হলে অনেকটাই স্বস্তি পেতাম। একটি জেলে কার্ডের জন্য আমাদের মেম্বার এর কাছে ভোটার আইডি দিয়েছিলাম তাও হলো না আবার আমাদের জেলে কমিটির সেক্রেটারির কাছে দিয়ে ছিলাম তাতেও কোন কাজ হলো না।
আরেক জেলে ছালাম ফকির বলেন, নদীতে জাল বাইতে বাইতে বুড়ো হয়ে গেছি কিন্তু আজও একটি জেলে কার্ড পেলাম না। সারা বছর নদীতে জাল দিয়ে মাস ধরি কম বেশি নদীতে মাছ পাই। কিন্তু আজ এক মাস ধরে নদীতে কোন মাছ নেই। আমরা এখন কি করবো তাই সংসার চালাতে মানুষের বাড়িতে জন খাটছি।
জেলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াসিল বলেন, নদীতে ৪২টি মাছ ধরার নৌকা রয়েছে। ৪২টি নৌকাই নদীর পাড়ে বাধা রয়েছে আর সব জাল নদীর পাড়ে পালা দিয়ে রাখা হয়েছে। আমার জেলে সংগঠনে সদস্য সংখ্যা রয়েছে ৭শ’ জন। তাদের মধ্যে সবার জেলে কার্ড নেই। কিছু জেলেদের কার্ড আছে। নদীতে কোন মাছ না থাকায় আজ এক মাস ধরে অলস সময় পার করছি। কিছু জেলেরা এখন এলাকায় মানুষের বাড়িতে জন খাটছে । বেকার বসে থাকলে তো আর সংসার চলবে না তাই জন খাটছে। আবার যখন নদীতে মাছ আসবে তখন সবাই নৌকাতে চলে আসবে।
উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা শাহ্রিয়ার জামান (সাবু) বলেন, যে সকল জেলেরা নদীতে ফ্যাশন ও গুটিকোনা জাল বেয়ে জীবিকা অর্জন করেন তারা জেলে কার্ডের আওতাধীন না। শুধু মাত্র নদীতে সারা বছর যে সকল জেলেরা ইলিশ মাছ ধরেন তারাই জেলে কার্ডের আওতাধীন। পুরাতন জেলেদের কার্ড করা আছে ১৬ শত ২৭ জন। এবার আবার নতুন করে ২২শ’ জন জেলে ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই বাছাই করে কার্ড দেয়া হবে। নদীতে মাছ নেই জেলোরা বেকার হয়ে বসে আছে এ বিষয়ে আমাদের কিছইু করনিও নেই। শুধুু ইলিশ মাছ ধরার ওপর সরকার যখন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন তখন জেলেদের কিছু চাউল দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।