বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে : ভারতের বীরভূম রামপুর হাট সেনানিবাসে উচ্চতর সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট তালিকাভুক্ত না করার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার শত শত মুক্তিযোদ্ধার অংশগ্রহণে গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া এনএস রোডস্থ ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ ডিসি কোর্ট চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ-পরবর্তী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা ইউনিটের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছিম উদ্দিন আহমেদ, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী রফিকুল আলম টুকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নজরুল ইসলাম, সহ: কমান্ডার (সাংগঠনিক) শফিউল ইসলাম মজনু, কুষ্টিয়া জেলা ইউনিট কমান্ড সাহাবুব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, এসকে ফয়েজ রসুল, কামাল হোসেন দবির, মোশারফ হোসেন, মোকাদ্দেস হোসেন, মইনউদ্দিন ও আবুল কাশেম মাস্টার প্রমুখ।
জেলা ইউনিটের কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৮৮-৮৯ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল (অবঃ) আমিন আহমেদ চৌধুরী ভারতের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার জন্য ইবি আরসি থেকে তালিকা সংগ্রহ করে তালিকার কাজ শুরু করেন। ভারতের বীরভূম রামপুর হাট সেনানিবাস থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ৮নং সেক্টর জিবি ভলিউম হিসেবে তালিকাভুক্ত করে যান। কিন্তু কল্যাণ ট্রাস্ট দীর্ঘদিন ধরে তালিকাটির কোনো ব্যবস্থা না করায় ভারতের বীরভূম রামপুর হাট সেনানিবাসে উচ্চতর সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধারা উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্তে¡ও তারা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের বীরভূম রামপুর হাট সেনানিবাসে তিনটি গ্রæপে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন প্রায় ৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধা। যার মধ্যে কুষ্টিয়া জেলাতে প্রায় ৬৫০ জন এবং বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলায় হাজার ঊর্ধ্বেসহ ৮নং সেক্টরে প্রায় ৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। যাদের প্রত্যেকের এফ এফ নং নাম পিতার নাম থানা ও জেলার নাম লেখা রয়েছে। তিনি অনতিবিলম্বে ৮নং সেক্টর জিবি ভলিউমটিকে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা হিসেবে ঘোষণার জোর দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।