পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রত্যেকবার ভারত সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শুধু দিয়ে এসেছেন, কিছু নিয়ে আসননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা ‘হতাশা’র বলে প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফর নিয়ে ‘এখনই’ কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কারণ আমাদের অভিজ্ঞতা খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা, ফ্রাস্ট্রেশনের অভিজ্ঞতা, হতাশার অভিজ্ঞতা। আমরা প্রত্যেকবার আশা করেছি যে, এবার প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য কিছু আনবেন। প্রত্যেকবার দেখেছি অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে, নিরাশার সঙ্গে- দিয়ে এসেছেন, নিয়ে আসেননি। সুতরাং ওই একটাই কমেন্ট। আগে আসুক উনি (প্রধানমন্ত্রী) ঘুরে। কি নিয়ে আসছেন আমরা দেখি। তারপরে কমেন্ট করব।
গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম সাইফুর রহমানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের নিজ বাড়ি বাহারমর্দন থেকে ঢাকা আসার পথে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার খড়িয়াল নামক স্থানে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান সাবেক অর্থমন্ত্রী। সাইফুর রহমানের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, তার মৃত্যুতে বিএনপি না বাংলাদেশ অত্যন্ত যোগ্য সফল অর্থমন্ত্রীকে হারিয়েছে। আমাদের খুব কষ্ট হয়, লজ্জ্বা হয় আমরা যখন বর্তমান অর্থমন্ত্রীর (আহম মুস্তফা কামাল) সঙ্গে তার দিকে তাঁকিয়ে দেখি। খুব কষ্ট হয়, লজ্জ্বা হয়। কারণ আমরা যখন কমপেয়ার করতে যাই, এই কম্পেয়ার করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আজকে আমরা একটা অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছি। এই সময়ে সাইফুর রহমান সাহেব যদি আমাদের সঙ্গে থাকতেন, আমরা নিসন্দেহে একদিকে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়ে তিনি আমাদের সঙ্গে থেকে সহযোগিতা করতেন। অন্যদিকে এই যে ভ্রান্ত উন্নয়ন বিপ্লব সৃষ্টি করেছে এই সরকার। সেটার আসল চেহারা তিনি উদঘাটন করতে সক্ষম হতেন এবং এই সরকারের যে মূল চেহারা সেটাকে উন্মোচন করতেও তিনি সক্ষম হতেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সাইফুর রহমান সাহেব বাংলাদেশের উন্নয়নে, টেকসই উন্নয়নের জন্য যেটা দরকার সেটা করার জন্য কোনো রকমের উনি ভ্রুক্ষেপ করতেন না। অনেকে বলেন যে, অর্থমন্ত্রী হিসেবে উনি একটু কঠিন ছিলেন। কঠিন সেখানেই ছিলেন যেখানে তিনি দেখেছেন এখানে অপব্যয় করবে সেখানে কিন্তু তিনি কোনো রকমের ছাড় দেননি। যেখানেই দেখেছেন এই কাজটা করলে দেশের জন্য, এদেশের মানুষের জন্য এবং এই দেশের অর্থনীতির জন্য প্রয়োজনীয় হবে সেটার জন্য অর্থ খরচ করতে তিনি কখনো পিছপা হননি।
তিনি বলেন, এম সাইফুর রহমান দেশের স্থিতিশীল অর্থনীতি গড়ার জন্য ভ্যাট থেকে শুরু করে যে পদক্ষেপগুলো গ্রহন করেছিলেন আজকে সেগুলোকে ব্যবহার না করে যেভাবে লুটপাট করা হয়েছে তিনি যদি বেঁচে থাকতে এর বিরুদ্ধে মাঠে নামতেন। আমাদের দেশকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে এই লুটের সরকার, ভোট ডাকাতির সরকারের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর পরিচালানায় আলোচনা সভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবেদ রাজা বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।