Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বৃষ্টির পানিতে সয়লাব সিলেট নগরী

উন্নয়নের আড়ালে লোপাট

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জমজম বৃষ্টি হয় সিলেটে। মনে হয় আকাশ ফেঁটে গেছে, সেকারণে বৃষ্টির নামছে অঝোরে। নিত্য ঘটনা নয়, অতীতেও এরকম বৃষ্টি হতো সিলেটজুড়ে। সেকালে বৃষ্টি হতো, নামতো পানি। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে ছিলনা এতো দুভোর্গ। তারপরও বৃষ্টির অস্থিরতায় সৃষ্ট পানিবদ্ধতা মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধিদের, কত দোড়ঝাঁপ। প্রস্তাব, লবিং এক সময় প্রকল্প পাশ তারপর পানিবদ্ধতা নিয়ে ভাবনা দূরীকরণের কর্মযজ্ঞ। সেই কর্মযজ্ঞ নিয়ে বা-হা-বা। উন্নয়নের মডেল-ডিজিটাল সিটির তকমায়ও লেপ্টে গেলো সিলেট নগরী। তারপর বৃষ্টিতে দুভোর্গে গোটা নগরী।

সিসিক কর্তৃপক্ষ বলছেন, জলবায়ু বিগড়ে নগরজুড়ে পানিবদ্ধতাই মূল কারণ। তাহলে এতো পরিকল্পনা, উন্নয়ন কি বৃষ্টির পানিতেই বিলীন। শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেও জলাবদ্ধতা থেকে কেন মুক্তি মিলছে না, ওঠছে সেই প্রশ্নও। সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে ১০৮.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টির পানিতে তৈরি হয় পানিবদ্ধতার।
সিসিক জানায়, নগরীতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১১টি ছড়া প্রবাহমান। এসব ছড়ার ১৬টি শাখা ছড়াও (খাল) আছে। এসব ছড়া-খাল সুরমা নদীতে গিয়ে মিশেছে। ছড়া-খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১০ কিলোমিটার। এর বাইরে নালা-নর্দমা আছে ৯৭০ কিলোমিটার। নালা-নর্দমায় পাকা ড্রেন আছে প্রায় সাড়ে ৬০০ কিলোমিটার।
মেয়র আরিফুল হক ইনকিলাবকে জানান, প্রধানমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়নে ১২২৮ কোটি টাকা শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছিলেন। এই পরিমাণ অর্থ পেতে বিধি অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সিলেট সিটি করপোরেশনকে নিজস্ব আয় থেকে ২০ শতাংশ অর্থাৎ, ২৪৫ কোটি যুক্ত করতে হবে। ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ৯৮২ কোটি টাকা সরকার দেবে। বরাদ্দের পুরো টাকা চারটি অর্থ বছরে ছাড় দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এই বরাদ্দের প্রথম ধাপে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ১২৯ কোটি টাকা পায় সিসিক। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দুইশ কোটি টাকা বরাদ্দ পায়। এখন পর্যন্ত ৯৮২ কোটি টাকার মধ্যে সিসিক পেয়েছে ৩২৯ কোটি টাকা।
বরাদ্দকৃত টাকা সঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না বলে যে অভিযোগ, তা সঠিক নয় বলেও দাবি করছেন মেয়র আরিফ, ‘সরকারি অর্থ কারো পক্ষে স্বেচ্ছাচারি হয়ে খরচ করা অসম্ভব। নজরদারির জন্য আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের নির্ধারিত নিয়ম রয়েছে।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী জানান, অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এতো বৃষ্টিপাত সাধারণত সিলেটে হয় না। ‘ক্লাইমেট চেঞ্জের (জলবায়ু পরিবর্তন) কারনে সিলেটে নিত্যনতুন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যা আগে ছিল না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ