Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২৪টি বিষধর গোখরা উদ্ধার আশুগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র সাপ আতঙ্ক

| প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোঃ হুমায়ূন কবির আশুগঞ্জ (ব্রাক্ষণবাড়িয়া) থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের উপজেলা সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন গ্রামে বিরাজ করছে সাপ আতঙ্ক। প্রতিনিয়িত বিভিন্ন জায়গায় বিষধর সাপ দেখতে পেয়ে সাধারণ মানুষের মনে বিরাজ করছে অস্থিরতা। সাপের ভয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও সাপের দংশনে উপজেলার খোলাপাড়া গ্রামে মামুন নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের গত ৬ মাসে এলাকাবাসী মেরেছে অর্ধশতাধিক আর সাপুরের হাতে ধরা পড়েছে ২৪টি বিষধর গোখরা সাপ। এনিয়ে জনমনে বিরাজ করছে সাপ আতঙ্ক।
উপজেলা প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, গত শনিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের পাশের সিঁড়ির নীচ থেকে একটি ও আড়াইসিধা গ্রামের একটি বসত বাড়ি থেকে ৫টি বিষধর গোখরা সাপ উদ্ধার করে সাপুড়ে।এনিয়ে উপজেলা প্রশাসনিক ভবন ও বিভিন্ন গ্রাম থেকে সাপুড়ের মাধ্যমে মোট ২৪টি বিষধর গোখরা জীবিত উদ্ধার ও প্রায় অর্ধশতাধিক বিষধর সাপ মেরেছে এলাকাবাসী। এতে করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সাপ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর উপজেলার খোলাপাড়া গ্রামের পশ্চিম আলগা বাড়ির আব্দুন নূর এর ছেলে মো. মামুন গোখরা সাপের দংশনে মারা যায়। এদিকে কয়েক মাস যাবত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিষধর গোখরা সাপের দেখা মিলছে। আর এই সাপ দেখে এলাকার সাধারণ মানুষ রাতের বেলায় চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝেও রয়েছে সাপ আতঙ্কে। বিশেষ করে উপজেলা প্রশাসনের নিচতলায় সাপের দেখা মেলায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে আতঙ্কিত হয়ে স্বাভাবিক কাজে বিঘœ ঘটছে।
উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিভিন্ন সময়ে ২৪টি গোখরা, আড়াইসিধা এলাকায় ১০টি, লালপুর এলাকায় ৫টি, তারুয়া গ্রামে ৪টিসহ বিভিন্ন গ্রামে অর্ধশতাধিক বিষধর গোখরা মেরেছে এলাকাবাসী। এছাড়াও আড়াইসিধা গ্রামের তোতা সরদারের বাড়ি থেকে ৯টি, একই এলাকার দেওয়ান ভূইয়ার বাড়ি থেকে ৫টি, উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে ১টি, ভবানীপুর গ্রাম থেকে ৩টি, লালপুর গ্রামে ধরা পড়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিরুল কায়ছার জানান, উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের আশেপাশে যে কয়টি সাপ রয়েছে তা ধারার জন্য আমরা সাপুড়ের সাথে যোগাযোগ করেছি। ইতোমধ্যে একটি বড় বিষধর গোখরা সাপ জীবিত উদ্ধার করেছে। সাপুড়েকে আবারো আনা হবে এবং উপজেলা প্রশাসনকে সাপমুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলা প্রশাসনের বাহিরে থাকা সাপ ধরার জন্য চেষ্ট করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ