বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনায় বিস্ফোরক মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাবেক কেসিসি মেয়র মনিরুজ্জামান মনিসহ বিএনপির ৫০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে খুলনা মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এস এম আশিকুর রহমানের আদালতে চার্জ গঠন শুনানি হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি নেতৃত্বাথীন ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা হাতে লাঠি, লোহার রড, বাঁশের লাঠি, ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সরকার বিরোধী শ্লোগান দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে। এসময় তারা রাস্তায় চলাচলরত যানবহন ভাঙচুর করতে থাকে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আসামিদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করে। এসময় তারা পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। আসামিরা কয়েকটি ট্রাক ও পিকআপ ভাঙচুর করলে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামালের ক্ষতি হয়। আসামিদের নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার টিএম মোশারফ হোসেনের ডান হাতে আঘাত ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। তখন নিজের জান মাল রক্ষার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ও গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনায় খুলনা থানার এস আই অনুকুল চন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে খুলনা থানায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ২৫০ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার এস আই মো. মোস্তাক আহমেদ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মোল্লা গোলাম মওলা বলেন, ২০১৩ সালে ২৬ নভেম্বর বিএনপি পাওয়ার হাউস মোড়ে সমাবেশ করছিল। সে সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। এটি একটি মিথ্যা মামলা। এ মামলায় একজনের নাম দু’বার ও একজন আসামী মারা গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।