রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কলারোয়ায় সারের জন্য হাহাকার পড়েছে। প্রায় তিনগুন বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে রাসায়নিক সার। বাড়তি সেচ খরচের পর সারের মূল্য বৃদ্ধিতে আমন উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, বৃষ্টির অভাবে খরায় সেচ দিয়ে কলারোয়ায় সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে দাম কমে যাওয়ার আশায় অধিকাংশ কৃষক সার ছাড়াই জমি চাষ দিয়ে আমন ধান রোপন করেছে। রোপনের ১৫ দিন হওয়ার পরে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে কৃষক আমন ধান পরিচর্যা ও সার প্রয়োগে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। আর চাহিদা বুঝে বাজারে সারের দামের উর্দ্ধগতি অব্যাহত রয়েছে। তারপরেও মিলছে না সার। ভাদিয়ালী গ্রামের কৃষক কামরুল জানায়, সরকার মূল্য পূনঃনির্ধারণের পর সংকট সৃষ্টি করে ২২ টাকা কেজির ইউরিয়া ২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সোনাবাড়িয়া গ্রামের আজিজুল জানায়, ভ্যান চালায়ে প্রায় ২ বিঘা আমন চাষের খরচ যোগাতে হচ্ছে। আর্থিক সংকটে ভ্যানে আয় কমে গেছে। আর ২২ টাকার ইউরিয়া ২৬ টাকায়, ২২ টাকা কেজির টিএসপি ৩০ টাকা, ১৫ টাকা কেজির পটাশ ৩৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ফলে আমন ধানে প্রয়োজনীয় সার না দিতে পারায় ফলন কম হবে। দেয়াড়ার শহিদুল জানান, তার এলাকায় কোন দোকানে একেবারে পটাশ সার নেই। পটাশর জন্য হাহকার পড়েছে। কিন্ত ১৫ টাকা কেজি দরের পটাশ ৪০ টাকা অর্থাৎ প্রায় ৩ গুণ দাম পরিশোধ করলে ডিলার সার বাড়ি পৌছে দিচ্ছে। শাকদা গ্রামের খোরশেদ বলেন, বেশি দাম পরিশোধ করলে সার মিলছে। তাহলে বেশি দাম নেয়ার জন্য কি সংকট তৈরি হয়েছে বলে তিনি প্রশ্ন রাখেন। গতকাল সোনাবাড়িয়া বাজার ও বালিয়াডাঙ্গা বাজার থেকে অসংখ্য চাষিকে সার না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে দেখা যায়। ‘অতিঃবর্ষণে গেল মৌসুমে আমন ও বোরো ধান আংশিক, সরিষা ও শীতকালিন সবজি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আমের ফলন ১০ থেকে ১৫ শতাংশে নেমে আসে। অনবরত ফসলহানিতে কৃষকরা প্রচণ্ড অর্থ সংকটে রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কৃষকের সংসার যাত্রা নির্বাহ দূরহ হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় সারের দাম বৃদ্ধি কৃষকের কাছে ‘মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’। ফলে বেশি দামের কারণে প্রয়োজনীয় সার দিতে পারছে না। এতে ফলন ব্যাহত হওয়ার শংকা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে যুগখালি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশান ও সোনাবাড়িযা ইউপি চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন বলেন, সারের সংকট বা দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তারা জানেন না এবং চাষিরা তাদের কিছু জানান নি। বিসিআইসি ডিলার হাসিব এণ্টারপ্রাইজ ও আশরাফ ট্রেডার্স বলেন, টাকা জমা দিয়ে আগস্ট মাসের পটাশ সরবরাহ পায়নি। আর চলতি মাসের সারের বরাদ্ধপত্র তাদের হাতে পৌছায়নি বলে সারের বেশি সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কলারোয়া উপজেলা কষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ডিলাররা গত মাসের পটাশ পায়নি এবং চলতি মাসের কোন সার আসেনি। তারপরেও কোন সারের সংকট নেই। সার নেই বা দাম বেশি নেয়া হলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।