Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কুমিল্লার মুরাদনগরে ভূমি সিন্ডিকেট ভরাট করছে শতবর্ষের পুরনো পুকুর

| প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : বসত বা বাণিজ্যিক জমির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভূমি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নজর পুকুর জলাধারের ওপর পড়েছে। পুকুর দীঘি ভরাটের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। আর মানুষের দৈনন্দিন পানির চাহিদা সংকট দেখা দিচ্ছে। ব্যাপকহারে কমেছে মাছের চাহিদা। সবমিলে পুকুর দীঘি ও জলাধার ভরাটের বিরূপ প্রভাব পড়েছে প্রকৃতির ওপর। গত ৮/৯ বছর ধরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় চলছে দীঘি পুকুর ভরাটের মহোৎসব। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পুকুর জলাশয়ে মাটি ভরাটের কাজটি গোপনে করছে স্থানীয় ভূমি ব্যবসায়ীরা। মুরাদনগর উপজেলা সদরের কেন্দুবিন্দুতে অবস্থিত শত বছরের পুরনো দুইটি বড় আকারের পুকুর প্রকাশ্যে দিনের আলোতেই মাটি ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ভূমি ব্যবসায়ীরা। পুকুর দুইটি শতাধিক পরিবারের লোকজনের গোসল থেকে শুরু করে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার হতো। পুকুর মালিকদের সাথে বায়না দলিলের নামে রফাদফা করে, সরকারের আইন অমান্য করে ভূমি ব্যবসায়িরা মাটি ভরাটের কাজ চালাচ্ছে।
ভূমি সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতায়, কুমিল্লার মুরাদনগরে পাল্লা দিয়েই কমছে পুকুর ও জলাধারের সংখ্যা। গত ৮/৯ বছরে মুরাদনগর উপজেলা সদরে কয়েকশত বছরের পুরনো পুকুরের মধ্যে গুলকশাহ পুকুর, আব্দুর রাজ্জাক মাষ্টারের বাড়ির পুকুর, শাহজাহান মাস্টারের পুকুর, মামুন মুক্তারের পুকুর, জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়ীর পুকুর, বিজেতা হোটেলের পাশে ভ‚ইয়া বাড়ির পুকুরসহ অসংখ্য পুকুর, জিলাধার ভরাট হয়েছে। আর ভরাটের এসব স্থানে গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন। বর্তমানে মুরাদনগর উপজেলা সদরে যেকটি পুকুর দিঘি জলাধার রয়েছে এসবের অস্তিত্ব ধ্বংসের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। তারমধ্যে উপজেলা সদরের মাদরাসা মাঠ সংলগ্ন অন্যামার বাড়ির পুকুর ও এটির কাছাকাছি লিল মিয়ার পুকুর ভরাট কাজ চলছে। অন্যামার পুকুরের তিন মালিক হলেন নজরুল ইসলাম, হরিলাল সাহা ও অজিত সাহা। তাদের মধ্যে একজন পুকুর ভরাটের বিপক্ষে রয়েছেন। আর লিল মিয়া পুকুরের উপজেলা সদরের জেলে পাড়ার খোকা ঠাকুর। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েককদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের লোকজন ড্রেজার ও ট্রাকটরের সাহায্যে মাটি ফেলে পুকুর দুইটি ভরাট করছে।
পুকুর ভরাট বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেলুল কাদের বলেন, ‘ব্যক্তি মালিকানার পুকুর ভরাটের বিষয়টি বে আইনি কিনা তা দেখতে হবে। আর স্থানীয়ভাবে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ