বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জ জেলার ক্ষুদ্র তেল ব্যবসায়ী ও ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক আলী আকবর হত্যা মামলায় দুই আসামীকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া উভয় আসামীর প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: আব্বাস উদ্দীন এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি গ্রামের মোল্লাবাড়ির জালাল মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা (৩৫) ও একই জেলার রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি গ্রামের ফরাজীবাড়ির মান্নান ওরফে মুনিত ফরাজীর ছেলে নুরু ফরাজী ওরফে নুরুল (৩৪)। রায় ঘোষনার সময় আসামীরা পলাতক ছিল।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, আসামী সুমন মোল্লা ও নুরু ফরাজী ওরফে নুরুল ২০০৮ সালের ২২ মে সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার মজুমদার কান্দি গ্রামে যাবার কথা বলে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার মহুয়ার মোড় থেকে আলী আকবরের ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ভাড়া করেন। পরে তাকে হত্যা করে সুমন মোল্লা ও নুরু ফরাজী ওরফে নুরুল মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নেয়। পরদিন ২৩ মে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বাজুনিয়া গ্রামের হাবিব নগর এলাকার সড়কের পাশ থেকে আলী আকবরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের ভাই আলী আহম্মদ বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে সুমন মোল্লাকে গ্রেফতার করে। সুমনের স্বীকারোক্তিতে এ ঘটনায় জড়িত নুরু ফরাজী ওরফে নুরুলকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারী গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন দুই আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহন শেষে আজ রোববার ওই আসামীদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারক মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষনা করেন।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাভোকেট মো: শহিদুজ্জামান খান ও আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট মাহাবুব আলম পরিচালনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।