Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সুন্দরবনে কটকা অভয়ারণ্য থেকে ১৮টি মাছধরা ট্রলারসহ ৩৮ জেলে আটক

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৫৪ পিএম

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় অবৈধ প্রবেশ করে মাছধরা অবস্থায় ১৮টি ফিশিং ট্রলারসহ ৩৮ জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ। রবিবার সকালে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. সামসুল আরেফিন অভিযান চালিয়ে সুন্দরবনে সারা বছরই বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বিশ^ ঐতিহ্য এলাকা থেকে ১৮টি ফিশিং ট্রলারসহ এই ৩৮ জেলেকে আটক করেন। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: বেলায়েত হোসেন।

সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাদিক মাহমুদ জানান, আটক হওয়া ট্রলারের মধ্যে ১০ টি সাগরে ইলিশ আহরনের জন্য দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ি থেকে পাশ পারমিট গ্রহন করে। সাগরে না গিয়ে এই ১০টিসহ ১৮টি ফিশিং ট্রলার স্থায়ী ভাবে প্রবেশ নিষিদ্ধ বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা কটকার কাদেরের খালে চলে যায়। এসব ট্রলারগুলির মধ্যে ১০টি ইলিশ ধরা জাল ও ৮টিতে ক্ষুদ্র ফাঁসের জাল পাওয়া গেছে। আটক জেলেদেরকে সোমবার বাগেরহাটের আদালতে পাঠাতে কটকা এলাকা থেকে রওনা করেছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ । আটক এসব জেলেদের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা স্লুইস এলাকার বলে তিনি জানান।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে জন্য শরণখোলা রেঞ্জে কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. সামসুল আরেফিন কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় যায়। এসময় স্থায়ীভাবে বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ কটকার কাদেরের খালে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ১৮টি মাছ ধরা ট্রলার দেখতে পান। সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে ট্রলারসহ ৩৮ জেলেকে আটক করেন তিনি। আটক জেলে ও ট্রলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ