বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঠাকুরগাঁও জেলায় রুহিয়ায় গতকাল দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা বিএনপি’র পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। আওয়ামীলীগের দাবী ১৩ জনসহ আহত হয়েছেন প্রায় ৩০ জন । সকলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে গুলি বিদ্ধ হয়েছেন ৩ জন। অন্যদিকে বিএনপি’র নেতাদের দাবী আওয়ামীলীগের হামলায় ২৫ জন বিএনপি’র নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আজ রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রথমে জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে নিজ পাটি অফিস সভাকক্ষে এবং পরে জেলা বিএনপি’র আয়োজনে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরে শোনান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন প্ররিকল্পিত ভাবে রুহিয়া থানা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের নামে জেলার বিভিন্ন পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী হতে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘিœত করার জন্য স্থানীয় সন্ত্রাসীরাসহ আ’লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে আক্রমন, দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু করে। রুহিয়া আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে পূর্ব ঘোষিত মহিলা আওয়ামলীগ এর সারাদেশে বিএনপি এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দেশ ব্যাপী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচী ও সমাবেশ ছিল। কিন্তু আমরা গভীর উদ্যোগের সাথে লক্ষ্য করলাম, বিএনপি’র স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা, রুহিয়া চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন জায়গায় মারমুখী অবস্থান নেয়। বিএনপি’র সমাবেশ শুরুর পূর্বেই রামনাথহাট সংলগ্ন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের বাস ভবনে হামলার চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন রুহিয়া থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি পার্থ সারথী সেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপস্থিতিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ও ক্ষতি সাধণ করে। এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা প্রতিহত করতে গিয়ে রুহিয়া থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েদ বাবু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, রুহিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক দিদারুল আলী, থানা ছাত্রলীগের নেতা সাহিনুর সোহাগ, রুহিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক ভাসানী ইসলাম সোহেলসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়াও ৪টি মটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি তৈমুর রহমান বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীদের আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা বাধা দেয়। এই খবর পেয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক এমপি’র মোড়ে গেলে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মীদের ৫টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। প্রশাসনের দেয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করে নেতাকর্মীরা বাড়ি ফিরছিল এমন সময় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীবাহিনী অতর্কিত হামলা চালায় এতে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।
তিনি আরও বলেন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অস্ত্র উচিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে এবং সমাবেশ স্থলের টেবিল-চেয়ার পুড়িয়ে দেয় ও বিএনপি কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়। এ সময় জেলা বিএনপি’র বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।