পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখনো সময় আছে, জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করে আপনারা নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। সংসদ বাতিল করুন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে জনগণের কাছে গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় এদেশের জনগণ আপনাদেরকে কোনো দিনই ক্ষমা করবে না। গতকাল শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে যুবদলের কর্মী শাওন প্রধানের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জে চাইনিজ রাইফেল দিয়ে পুলিশের গুলি করার বৈধ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এর তদন্ত দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে সরকারের এহেন অপকর্মের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। চাইনিজ রাইফেলে গুলি করার এখতিয়ার পুলিশের আছে কিনা প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কি কারণে সরকারের পেটুয়া বাহিনী, লেলিয়ে দেয়া বাহিনী তারা গুলি করেছে এবং এই গুলিতে করেছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ কনক, ডিবির এসআই কনক। বলা হচ্ছে, এই এসআই কনকের চাইনিজ রাইফেল রাখার কোনো এখতিয়ার ছিলো না। তাহলে এই চাইনিজ রাইফেলটা আসলো কোত্থেকে? কোন আদেশ বলে সে গুলি করলো আমার ভাইকে। পুলিশকে কি সেই এখতিয়ার দেয়া হয়েছে যে, একজন মানুষ বিনা কারণে পুলিশ গুলি করে হত্যা করবে? সরকারকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে এই হত্যার জন্য দায়ী কে?।
তিনি বলেন, চাইনিজ রাইফেল দিয়ে যিনি পয়েন্ট লাইনে গুলি করেছেন তার তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় এনে তাকে সাজা দিতে হবে। যদি না দেন। আমরাও বসে থাকবো না, ভোলাতে মামলা করেছি, নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের মামলা করব। যত আইন ভঙ্গ করা হবে, আমার ভাইদের ওপর অত্যাচার করবে ততবার মামলা হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার বলতে পারেন মামলায় কি হবে? মামলায় হয়, আজকে পুলিশের আইজি আমেরিকায় গেছেন এবং শর্তসাপেক্ষে গেছেন, শর্ত মেনে যেতে হয়েছে। সেখানে তাকে (আইজি বেনজির আহমেদ) বলা হয়েছে যে, সুনির্দিষ্ট এলাকা জাতিসংঘের ক্যাম্পাসের বাইরে তুমি যেতে পারবে না। এটা লজ্জ্বা আমাদের জন্য, একটা স্বাধীন সার্বেভৌম দেশের জন্য। কেউ রক্ষা করতে পারে না। আজকের পৃথিবীতে যারাই অত্যচার, নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তাদের কেউই রক্ষা পায়নি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা সমাবেশ ও কর্মসূচি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ। অথচ ভোলাতে তারা (পুলিশ) দুই জনকে হত্যা করেছে, নারায়ণগঞ্জে ১জনকে। মামলায় আসামী সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সেই আগের কায়দায়, গায়েবী মামলার কায়দায় এবং এই মামলা দিয়ে হামলা করে, আহত করে পঙ্গু করে আবার তারা বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে চায় এবং মাঠে থেকে তারা একাই নির্বাচন করতে চায়।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার জানে, কোনো পরিস্থিতিতেই এই সরকার আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। সুতরাং হত্যা করো, হত্যা করো। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তাদেরকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে। তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে এভাবে আমাদের নেতারা গুলি খেতে শিখেছে, মার খেতে শিখেছে, রক্ত দিতে শিখেছে। ইনশাল্লাহ শেখ হাসিনা টিকে থাকার ক্ষমতা নেই, টিকে থাকতে পারবে না। এই সরকারকে সরাতে হলে আমাদের যা করা দরকার আমরা তাই করব।
স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পুলিশ বাহিনীর একটি অংশকে তারা (সরকার) ব্যবহার করে সেই জনগণের ওপর প্রতিনিয়ত গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দিয়ে যে কাজ করানো হচ্ছে এটা শুধু অসাংবিধানিকই নয়, এটা মানুষের সাধারণ ধর্মীয় চিন্তার দিক থেকে তারা নিজেদের বিবেকের কাছে দায়ী থাকছে।
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জয়নুল আবদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, আবদুস সালাম আজাদ, শ্যামা ওবায়েদ, কামারুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, মহানগর দক্ষিনের ইশরাক হোসেন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ,ছাত্র দলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, নারায়নগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বক্তব্য রাখেন।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।