Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শৃঙ্খলা ফিরেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে

বিশেষ সংবাদদাতা, নোয়াখালী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও পিছিয়ে নেই। দেশের ১১টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিং দ্বিতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে। ভিসি ড. মো. দিদার-উল-আলম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর প্রতিষ্ঠানটির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে।

জানা গেছে, এক সময় নোবিপ্রবিতে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছিল। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ, যোগ্যতা থাকা সত্বেও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত, আবাসিক হলে সীট বরাদ্দেও কোন নিয়ম-নীতি অনুসরণ না করা। এছাড়া বিভিন্ন গ্রুপের কারণে শিক্ষার পরিবেশ ব্যহত হয়। ফলে অভিভাবকরাও চরম উদ্বেগে ছিল। আর বর্তমান ভিসি ড. দিদার-উল আলমের নেতৃত্বে এখন প্রতিটি হলে বরাদ্দ ব্যতীত কারো অবস্থানের সুযোগ নেই। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও হয়ে গেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীরা নিয়োগ পাচ্ছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধার ভিত্তিতে যাচাই করে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শূণ্য পদে বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়োগের লক্ষে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা, পরীক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ইনকিলাবকে জানান, অনেকদিন পর স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভিসির পদক্ষেপে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

২০২২ সালে নোবিপ্রবি দেশের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ’র‌্যাঙ্কিং’ দ্বিতীয় অবস্থানে পৌঁছেছে। তেমনিভাবে সরকারি-বেসরকারি ১৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ১১তম অবস্থানে রয়েছে। এ বিষয়ে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ বিরাজ করছে।

নোবিপ্রবি’র উপাচার্য ড. মো. দিদার-উল আলম ইনকিলাবকে বলেন, আমার দায়িত্ব এটা করার। আরও কিছু বাকি আছে। সকলের সহযোগীতায় আরও কাজ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ