Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কাঁঠালতলী হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট

জোড়াতালি দিয়ে চলছে বহির্র্বিভাগ

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কাঁঠালতলী ২০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসক ও জনবল-সঙ্কটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে সেবা। উদ্বোধনের পর আর চালু করা সম্ভব হয়নি অন্তবিভাগ। জোড়াতালি দিয়ে চালু রয়েছে হাসপাতালের বহির্বিভাগ।

তিনটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তিন লক্ষাধিক মানুষ উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালে রোগীদের ভরসা একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা ও একজন উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা। এসব সমস্যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও ১৬ বছরেও মেলেনি সমাধান।

জানা যায়, হাসপাতালটি উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে মাধবখালী ইউনিয়নে অবস্থিত। এর দক্ষিণে রয়েছে মির্জাগঞ্জ ও আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের কিছু অংশ। উত্তরে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়ন। পশ্চিমে বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়ন। এই পাঁচটি ইউনিয়নসহ কাঁঠালতলী উপশহরের বাসিন্দাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে হাসপাতালটি ২০০৬ সালে উদ্বোধন করা হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কাগজে-কলমে জুনিয়র কনসালটেন্ট ৪ জন, ২ জন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ৫ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স, ২ জন ওয়ার্ড বয়, একজন করে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, নিরাপত্তা প্রহরীসহ ২৩টি পদ থাকার কথা। তবে বর্তমানে কর্মরত আছেন একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা, একজন উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা ও একজন ওয়ার্ড বয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার বলেন, হাসপাতালটি নামে আছে কাজে নেই। দিনের বেলায় দুজন চিকিৎসক এসে বহির্বিভাগে রোগী দেখে চলে যান।

হাসপাতালের চিকিৎসক মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের সরঞ্জাম এবং জনবল-সঙ্কট রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নামে মাত্র কিছু ওষুধ দেওয়া হয় যা দিয়ে বহির্বিভাগ চালু রয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ থাকলে অসংখ্য রোগীর আগমন ঘটত এবং সঠিক সেবাও পেত।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার তেন মং বলেন, কাঁঠালতলী ২০ শয্যা হাসপাতালের আর্থিক বরাদ্দ কোড তৈরি হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বরাদ্দ থেকে কিছু ওষুধ দিয়ে হাসপাতালটি চালু রাখা হয়েছে। ওখানে দুজন চিকিৎসক সংযুক্তি দেওয়া আছে। চিকিৎসক ও জনবল-সঙ্কটের কথা চিঠির মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ